এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজস্থান,১০ এপ্রিল : রাজস্থান হাইকোর্টে জেলা বিচারকের পদোন্নতি সংক্রান্ত একটি খবর সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এখানে হাইকোর্টে জেলা জজ পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে । আর ফলাফল প্রকাশ হতেই তোলপাড় পড়ে গেছে । কারন পরীক্ষায় একজনও প্রার্থীও পদোন্নতির জন্য যোগ্য বলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি । হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে বলেছে যে কোনও প্রার্থীই সেই মানদণ্ডে পৌঁছাতে পারেনি ।
আসলে, হাইকোর্ট জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য সীমিত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে। সীমিত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার অর্থ হল কেবলমাত্র নির্বাচিত ব্যক্তিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, যারা ইতিমধ্যেই বিচার বিভাগে কর্মরত এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থী অন্যতম । তার মানে এই লোকেরা নতুন ছিল না, বরং ইতিমধ্যেই বিচারব্যবস্থার অংশ ছিল। তবুও, ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় যে সবাই ফেল করেছেন ।
লাইভ ল-এর প্রতিবেদন অনুসারে , এই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ৯ জুলাই, ২০২৪ তারিখে জারি করা হয়েছিল। প্রার্থীদের মধ্যে সেইসব বরিষ্ঠ বিচারকরাও ছিলেন যাদের কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে । হাইকোর্টের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মাত্র ৯৯ জন সিনিয়র সিভিল জজ এই পরীক্ষার জন্য যোগ্য ছিলেন। এবং এটি মোট ৪৫টি পদের জন্য হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ১৬টি শূন্যপদ ছিল ২০২২-২৩ সালের জন্য। ৪টি শূন্যপদ ২০২৩-২৪ সালের জন্য এবং ২টি শূন্যপদ ২০২৪-২৫ সালের জন্য ছিল।
এই পদের জন্য প্রাক-পরীক্ষা ২৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে ৪৬ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষাটি চলতি বছরের ৮ ও ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর গত ৮ এপ্রিল এর ফলাফল প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে যে কোনও প্রার্থীকে পদের জন্য যোগ্য বলে মনে করা হয়নি। তার মানে কেউ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এখন প্রশ্ন হলো, প্রার্থীদের প্রস্তুতির অভাব ছিল কিনা, নাকি নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও কঠোর করা হয়েছে? যাই হোক না কেন, এটা স্পষ্ট যে জেলা জজ পদে পৌঁছানো কোনও ছেলেখেলা নয়। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত দেখায় যে তারা তার বিচারকদের কাছ থেকে কতটা উচ্চমানের আচরণ আশা করে । পাশাপাশি কর্মরত বিচারকদের যোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে ।।