এইদিন ওয়েবডেস্ক,রত্নাগিরি(মহারাষ্ট্র),০৬ এপ্রিল : কেরালার কোঝিকোড় জেলায় চলন্ত ট্রেনে আগুন লাগিয়ে তিনজনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযুক্ত শাহরুখ সাইফিকে (Shahrukh Saifi) মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । সাইফির মুখে বেশ কিছু আঘাত লেগেছে । সে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেলে তাকে মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (MATS) এবং রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF) যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে । বর্তমানে অভিযুক্ত মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের হেফাজতে আছে । তদন্তকারী দল জানতে পেরেছে শাহরুখ সাইফির সঙ্গে দিল্লির শাহীনবাগের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে । কেরালা পুলিশের একটি দল বুধবার শাহীনবাগে তার বাড়িতে তদন্তের জন্য গিয়েছিল । বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় । শাহরুখ সাইফির বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের সঙ্গে নিয়ে গেছে বলে খবর ।
শাহরুখ সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরে কেরালা অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) এবং কেরালার রেলওয়ে পুলিশ ওই সন্ত্রাসবাদীর ফেলে যাওয়া ব্যাগ থেকে পাওয়া নোটবুক থেকে তথ্য সংগ্রহ করার সাথে সাথেই মহারাষ্ট্র, দিল্লি পুলিশের সাথে শেয়ার করে । ব্যাগ থেকে পাওয়া মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের ইতিহাস সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরার জন্য সঠিক পথ দিয়েছে বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,খুনি শাহরুখ সাইফির ব্যবহৃত সিমটি দিল্লির জামিয়া নগরের শাহিনবাগের ঠিকানা দেখিয়ে নেওয়া হয়েছিল । ২ এপ্রিল ঘটনার পর সে মোবাইল সুইচ অফ করে দেয় । তখন থেকেই পুলিশ তার পরিবারের সদস্যদের একাধিক নম্বর নজরদারিতে রেখেছিল । ফের রাত্রি দেড়টা নাগাদ শাহরুখ ফোন অন করলে পুলিশ জানতে পারে সে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে রয়েছে । এরপর মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড এবং রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ।
উল্লেখ্য, ২ এপ্রিল রাতে কেরালার একটি চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের ওপর পেট্রোল ছিটিয়ে হঠাৎ আগুন ধরিয়ে দেয় শাহরুখ সাইফি । এই ঘটনায় দুই বছরের এক শিশু এক মহিলা ও এক পুরুষের মৃত্যু হয় । গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয় ৯ জন । আগুন লাগানোর পর চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে গিয়ে মুখে চোট পায় ওই দুষ্কৃতী । রত্নাগিরির একটি হাসপাতালে সে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল । কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে ধরা পড়ে যায় ।।