এইদিন ওয়েবডেস্ক,শাহজাহানপুর,২০ সেপ্টেম্বর : উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলার এক অধ্যাপককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ধৃত অন্যতম আসামি শাহবাজকে(৪০) এনকান্টারে খতম করল পুলিশ । এই বিষয়ে সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ অশোক কুমার মীনা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার ওই দুষ্কৃতীকে হাজির করার জন্য আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । সেই সময় রাস্তায় পুলিশের গাড়ির সামনে একটি পশু চলে আসে । প্রাণীটিকে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির চালক সজোরে ব্রেক কষলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে যায় । গাড়িটি উল্টে যাওয়ার সাথে সাথে শাহবাজ তার সাথে থাকা সাব ইন্সপেক্টর হিতেশ তোমারের সার্ভিস রিভলভার ছিনিয়ে নিয়ে মাঠের দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে । পুলিশ তাকে থামতে বললে শাহবাজ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে ।
পুলিশও পাল্টা গুলি চালায় । এই সংঘর্ষে শাহবাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় । তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয় ।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ১৮-১৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে শাহজাহানপুর জেলার কাটরা থানা এলাকার বাসিন্দা অধ্যাপক অলোক গুপ্তের(৩৫) বাড়িতে ডাকাতি হয় । আওয়াজে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ায় অধ্যাপক ডাকাতদের বাধা দেন । তখন ডাকাত দল ছুরি নিয়ে অধ্যাপককে এলোপাথাড়ি কোপায় । এমনকি অধ্যাপকের চোখও উপড়ে ফেলা হয় । তাকে বাঁচাতে আসা অধ্যাপকের স্ত্রী, বাবা, ভাই, ভগ্নিপতি ও সন্তানদেরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা । ডাকাতদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি ৩ ও ৪ বছরের একটি শিশুও ।
আহত হয়েও শাহবাজ ও তার সঙ্গী শাহরোজকে ধরে ফেলে অধ্যাপকের পরিবারের সদস্যরা । বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায় । এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পুলিশ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । এদিকে ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা । পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । পলাতক ডাকাতদের জন্য মাথা পিছু ৭৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ । ডাকাতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মোতায়েন করা হয়েছে ।
জানা গেছে,কাটরা থানা এলাকার বাসিন্দা মৃত শাহবাজ ছিল পেশায় ই-রিকশা চালক । কিন্তু পুলিশের খাতায় সে কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবে বলে চিহ্নিত । অধ্যাপককে খুনের আগে এক মাদক ব্যবসায়ীকে হত্যার জন্য সে ওয়ান্টেড ছিল । অপর ধৃত শেহরোজ একটি সেলুনে কাজ করত । কিন্তু তারা একটা ডাকাতদল গঠন করেছিল । দিনে সেলুনে কাজ করার পর দলের সঙ্গে ডাকাতি করতে বের হত শেহরোজ নামে ওই দুষ্কৃতী ।।