এইদিন ওয়েবডেস্ক,আমরোহা,১০ এপ্রিল : উত্তর প্রদেশে আরেকটি আন্তঃধর্মীয় বিবাহের ঘটনা সামনে এসেছে । ৩০ বছর বয়সী এক মুসলিম মহিলা দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে বিয়ে করার জন্য হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বুধবার উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। তিন সন্তানের জননী শবনম খান স্থানীয় একটি মন্দিরে গিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ১৮ বছর বয়সী শিবের সঙ্গে বিয়ে করেন । জানা গেছে, শবনমের বাবা-মা এবং গ্রামের প্রবীণরা এই বিয়েতে সম্মতি দেন এবং বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের আগে ধর্মান্তর
এই বিয়ের আগে শবনম খানকে স্থানীয় পুরোহিতরা হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন। পরে, তার নাম পরিবর্তন করে শিবানী রাখা হয় এবং হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন হয়। হাসানপুর সার্কেল অফিসার দীপ কুমার পন্ত, যিনি এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে, শিবানী নামের ওই মহিলার আগে শবনম নামে পরিচিত ছিল। তার বাবা-মা আর বেঁচে নেই। আগে তার দুবার বিয়ে হয়েছিল। তিনি বলেছেন যে তার দুই স্বামীর সাথেই ডিভোর্স হয়ে গেছে। একইভাবে, পুলিশ বর্তমানে বিবাহ স্থলের আশেপাশের পরিস্থিতি তদন্ত করছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনও আইনি অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে শিবানীর (শবনম) সঙ্গে মিরাটের এক ব্যক্তির বিবাহ হয় । কিন্তু তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় । পরে তিনি সাইদানওয়ালি গ্রামের বাসিন্দা তৌফিককে বিয়ে করেন, যিনি ২০১১ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছিলেন। সম্প্রতি, দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়া প্রায় ১৮ বছর বয়সী হিন্দু যুবক শিবের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে শবনমের। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গত সপ্তাহের শুক্রবার তিনি তার দ্বিতীয় স্বামী তৌফিককে তালাক দেন এবং হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন, তার নাম পরিবর্তন করে শিবানী রাখেন এবং তার প্রেমিক শিবকে বিয়ে করেন ।
এই বিষয়ে,শিবের বাবা, সাইদানওয়ালি বাসিন্দা দাতারাম সিং বলেন যে তিনি তার ছেলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন এবং দম্পতি যদি সুখী হয় তাহলে পরিবারও সুখী হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে তারা দুজনেই শান্তিতে একসাথে বসবাস করবে ।’
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ এমন একটি রাজ্য যেখানে ধর্মান্তর বিরোধী আইন রয়েছে । উত্তরপ্রদেশ বেআইনি ধর্মীয় ধর্মান্তর নিষিদ্ধকরণ আইন-২০২১ বলপ্রয়োগ, জালিয়াতি বা অন্য কোনও প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তর নিষিদ্ধ করে।।