এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরপ্রদেশ,২৩ জুলাই : নামে ফ্যাশন ইনস্টিটিউট । কিন্তু সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েদের ধর্মান্তরিত করার জন্য চলছে ব্রেনওয়াশ করার অভিযোগ উঠেছে । উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে ল্যাকমে একাডেমি নামে ওই ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের ঘটনা । দুই হিন্দু ছাত্রী এবং ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী মিলে জেলা কালেক্টর অনুজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে ইনস্টিটিউট পরিচালনাকারী রক্ষন্দা খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর । দাবি করা হয়েছে যে রক্ষন্দা খান মুসলিম ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য তাদের ওপর রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করছেন । শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,’একাডেমির পরিচালক রক্ষন্দা খান বলেন,’মুসলিম ছেলেদের বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নেই। আমিও আগে হিন্দু ছিলাম। আমি একজন মুসলিমকে বিয়ে করেছি। এখন আমি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়েছি এবং একটি মুসলিম পরিবারে খুব সুখী।’ একাডেমির নিবন্ধন বাতিল ও রক্ষন্দা খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে অভিযোগকারিনীরা ।
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে,অভিযুক্ত রক্ষন্দা খান মূলত কানপুরের সাকেত নগরের বাসিন্দা। তিনি একটি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তার আসল নাম ছিল স্বপ্না। তার ৫ বোন ও ১ ভাই আছে। বোনদের মধ্যে সে সবার ছোট। প্রায় ১৭ বছর আগে প্রেমে পড়ে শাহনওয়াজ খান নামের এক মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করেন। এ জন্য তিনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন । মোরাদাবাদের কাঁথ রোডের হরথালা পুলিশ পোস্টের সামনে অবস্থিত
ল্যাকমে একাডেমি নামে একটি ফ্যাশন ইনস্টিটিউট চালান তিনি । সেখানে মেকআপ, চুল এবং ত্বকের চিকিৎসা পদ্ধতি শেখানো হয় । একাডেমির প্রায় সব ছেলেই মুসলমান এবং বেশিরভাগ মেয়েই হিন্দু।
গত সোমবার একাডেমিতে অধ্যয়নরত তানিয়া চৌধুরী এবং স্বাতী পাল এক ছাত্রকে নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেন যে স্বপ্না ওরফে রক্ষন্দা খান হিন্দু মেয়েদের মুসলিম ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করতে এবং ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করতে প্ররোচিত করে। সে ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দু মেয়েদেরকে মুসলিম ছেলেদের সাথে দলে রাখে। তিনি মুসলিম ধর্মের প্রচার করেন । তাদের আরও অভিযোগ,রক্ষন্দা হিন্দু ধর্মকে গালি দেয়। তার কথা না মানলে সে মেয়েদের নানাভাবে হয়রানি করে ।
উল্লেখ্য, এক বছর আগে রাজ রানা নামে এক যুবক ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগও তুলেছিল রক্ষন্দা খানের বিরুদ্ধে । ওই ছাত্র জানান, রক্ষন্দা শিক্ষা না দিয়ে ইসলাম প্রচার করে। রক্ষন্দা বলে ইসলাম ভালো না হলে এত হিন্দু মাজারে যায় কেন? কেন একজন মুসলিম মেয়ে ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু হয়ে গেলে এত হট্টগোল হয় না ?’ একজন ব্যবহারকারীর পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় মোরাদাবাদ পুলিশ লিখেছে,’এসএইচও সিভিল লাইনসকে তদন্ত/প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।’।