এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট,১১ ডিসেম্বর ঃ ফের শাদকদলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল মঙ্গলকোটে । ঢিল ছোড়া দুরত্বে পৃথকভাবে মিছিল করলেন বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও অনুব্রত মন্ডলের অনুগামীরা । শুক্রবার মঙ্গলকোটের নতুনহাটে তৃনমুলের পৃথক দুই মিছিল ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গেছে ।
মঙ্গলকোটে বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও অনুব্রত মন্ডল গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে । সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দেগেছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী । অজয় নদে বেআইনি বালির ব্যাবসা থেকে শুরু করে তাঁর অনুগামীদের মিথ্যা কেসে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গিয়েছিল মঙ্গলকোটের বিধায়ককে । মুলত তাঁর নিশানায় ছিলেন অনুব্রত মন্ডল । যদিও এই অভিযোগকে বিশেষ আমল দেননি অনুব্রত ৷
এরপর এদিন ফের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ প্রকাশ্যে এল।
এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় কৃষিবিলের বিরুদ্ধে মিছিল করেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী । নতুনহাটের পদিমপুরে তার দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি নতুনহাট বাজার পরিক্রমা করার পর দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয় ।
অন্যদিকে ঢিল ছোড়া দুরত্ব থেকে “বঙ্গধ্বনি যাত্রা”কর্মসূচি উপলক্ষ্যে মিছিল করেন অনুব্রত মন্ডল অনুগামীরা । ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেন ব্লক সভাপতি অপুর্ব চৌধুরী । মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে নতুনহাট বাজার পরিক্রমা করে ।
একই সময়ে একই জায়গায় দলের দুই পৃথক মিছিলের বিষয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,” কে আলাদা মিছিল করল তার দায়িত্ব আমার নয় । আমাকে রাজ্য নেতৃত্ব যা নির্দেশ দিয়েছেন তাই পালন করছি। কেউ আলাদা মিছিল করলে দায়দায়িত্ব তাদের।” এরপর সিদ্দিকুল্লাকে প্রশ্ন করা হয় মঙ্গলকোটে কি তাহলে অনুব্রতই শেষ কথা? এর উত্তরে সিদ্দিকুল্লার বলেন, “আমি তা জানি না। উনি মোটা লোক।তাজা লোক। আমার শরীর দূর্বল। তাকে জিঞ্জাসা করুন।”
অন্যদিকে বিধায়কের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ” দলের জন্মলগ্ন থেকে অনুব্রত মণ্ডল মঙ্গলকোটের মাটিতে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। দলকে জিতিয়েছেন। আর এখন বাইরে থেকে পরিযায়ী পাখির মতো কেউ এসে উল্টোপাল্টা বলছে। ওসবের গুরুত্ব নেই।”