এইদিন ওয়েবডেস্ক,উদয়পুর,২৯ জুন : আট বছরের শিশু সন্তান বাবার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নূপুর শর্মার সমর্থনে একটি পোস্ট করেছিল । সেই অপরাধে বাবাকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল । কিন্তু তার পরেও তাঁকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে খুন করল কট্টরপন্থী দুই মুসলিম যুবক । মঙ্গলবার রাজস্থানের উদয়পুরের মালদাসের টেইলারিংয়ের ব্যাবসায়ী কানাইয়া লালকে নৃসংশ খুনের ঘটনায় একের পর এক তথ্য সামনে আসছে । অভিযোগ,কথিত ধর্মনিন্দার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পরেও ধর্মান্ধরা খুনের হুমকি দিচ্ছিল কানাইয়া লালকে । তিনি নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন । কিন্তু হাত গুটিয়ে বসেছিল পুলিশ । কিন্তু খুনের পর প্রতিবাদ শুরু হতেই অশোক গেহলট সরকারের পুলিশ ও প্রশাসন এবার নড়েচড়ে বসেছে।
জানা গেছে,প্রথমে উদয়পুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয় । উদয়পুরের ধানমন্ডি, ঘন্টাঘর, হাতিপোল, আম্বামাতা, সুরজপোল, ভূপালপুরা এবং সাভিনা থানা এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে । পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এসব এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। তবে কিছু জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছে । গোটা রাজস্থান জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা ।
প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার উদয়পুরের মালদাসে কানাইয়া লালের টেইলারিং-এর দোকানে খরিদ্দার সেজে এসেছিল রফিক মোহাম্মদ এবং আব্দুল জব্বার নামে দুই জেহাদি । কানহাইয়া লাল যখন জামার মাপ নিতে ব্যাস্ত সেই সময় এক জেহাদি তার উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় । কানহাইয়া লালকে সে এলোপাথাড়ি কোপানোর পর তার শিরোচ্ছেদ করে । এদিকে তখন অপর জেহাদি সেই দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও রেকর্ড করছিল । পরে দুই খুনি একটি ভিডিও তৈরি করে ঘোষণা করে যে নূপুর শর্মাকে সমর্থন করার জন্য তাকে (কানহাইয়া লাল) শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথেও তারা একই ঘটনা ঘটবে ।
যদিও কানহাইয়ালালের গলা কাটায় অভিযুক্ত দুজনকেই রাজসমন্দ জেলার ভীমা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে এসআইটি গঠন করা হয়েছে । একই সঙ্গে সেখানে পৌঁছেছে ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির ( NIA) দল ।।