দিব্যেন্দু রায়,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০৮ ডিসেম্বর : পড়ুয়াদের পড়াশোনার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে স্মার্টফোন ও টেলিভিশন । যে কারনে পরীক্ষার ফলাফলের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে । তাই এই দুইয়ের নেশা থেকে পড়ুয়াদের মুক্ত করতে অভিনব উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় । এই দুয়ের নেশা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মুক্ত করতে তাদের দিয়ে অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করে নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ । সেখানে স্বাক্ষর করছেন পড়ুয়াদের অবিভাবকরাও । অঙ্গীকারপত্রে লেখা রয়েছে, ‘আমি মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (শিক্ষাবর্ষ ২০২২-২০২৩) । আমি স্বইচ্ছায় ও সজ্ঞানে অঙ্গীকার করছি এখন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মনযোগ সহকারে নিজের পড়া ভালো করে পড়বো । পরীক্ষা পর্যন্ত আমি কোনো ভাবেই মোবাইল ফোন এবং টেলিভিশনের জন্য সময় নষ্ট করবো না । আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো ভালো ফল করে বিদ্যালয় ও পরিবারের সুনাম বজায় রাখতে । আমি বিদ্যালয়কে নিশ্চিত করছি,আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, কথা রাখলাম ।’
অঙ্গীকারপত্র :-
স্কুল সুত্রে জানা গেছে,মাজিগ্রাম বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে ৪৫ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে । পরীক্ষার্থীদের বাড়ি আশপাশের মাজিগ্রাম, মালিয়াড়া, চাকুলিয়া, আয়মাপাড়া, মাদপুর, ভাল্যগ্রাম, সাঁড়ি প্রভৃতি গ্রামে । স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিরা রীতিমতো পালা করে পড়ুয়াদের বাড়ি বাডি গিয়ে অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করে নিয়ে আসছে ।
মাজিগ্রাম বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত সাহা বলেন,’বিগত দু’বছর করোনার বিধিনিষেধের সময় পড়ুয়াদের মধ্যে স্মার্টফোন ও টেলিভিশনের আসক্তি বহুগুণ বেড়েছে । বর্তমানে লকডাউন উঠে গেলেও তাদের সেই পুরনো অভ্যাস এখনো রয়ে গেছে । মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে থেকে তাদের এই অভ্যাস যদি কাটানো না হয় তাহলে তাদের জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় প্রভাব পড়তে বাধ্য । তাই পড়ুয়াদের স্মার্টফোন ও টেলিভিশনের আসক্তি কাটাতে স্কুলের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।’ তিনি আরও বলেন,’আমরা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখছি। তাদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে খোঁজ রাখছি । শুধু বলা হচ্ছে এই তিনটে মাস যেন তারা কোনওভাবে সময়ের অপচয় না করে ।’।