এইদিন ওয়েবডেস্ক,পুরুলিয়া,২৬ জানুয়ারী : কনকনে ঠান্ডা সকাল । কয়েকটি পোষা ছাগল নিয়ে মাঠে চড়াচ্ছেন জনৈক এক মহিলা । মহিলার পরনে রয়েছে লাল সোয়েটার৷ এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল, কিন্তু মহিলার ৫-৬ টি পোষা ছাগলের শরীরে জড়ানো নীল রঙের জামা সকলের নজর কেড়ে নেয় । ওই জামাগুলি নতুন এবং সেগুলি আদপে স্থানীয় স্কুলের পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম । গত ২৩ শে জানুয়ারী পুরুলিয়া জেলার বাগমুন্ডি থানা এলাকার চানক গ্রামের ওই ঘটনা স্থানীয় নিউজ চ্যানেলে প্রকাশিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । এই ঘটনায় বাগমুন্ডি নিম্ন বুনিয়াদী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মলয় রঞ্জন মাঝির বিরুদ্ধে অনেকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন । সরকারিভাবে স্কুলে দেওয়া ইউনিফর্মগুলি পড়ুয়াদের মধ্যে বিলি না করে কিভাবে ছাগলের পোষাক হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে । যদিও প্রধান শিক্ষক সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন যে তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে ।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হতেই বৃহস্পতিবার অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে মিটিং করেন প্রধান শিক্ষক। ওই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাগমুন্ডি-১ নম্বর চক্রের শিক্ষাবন্ধু স্বর্ণালী চট্টোপাধ্যায়, অবিভাবক ও প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা । মিটিং এর পর প্রধান শিক্ষক বলেন,’গত ২৩ তারিখে যে ঘটনাটি ঘটেছিল তার ভিত্তিতে আমরা আলোচনা করেছি এদিন । দিলীপ পরামানিক বলে যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি যে অভিভাবকের নাম করেছিলে তিনিও উপস্থিত ছিলেন মিটিংয়ে । সেই অভিভাবকের মিটিংয়ে স্বীকার করেন যে বিগত তিন বছর ধরে তার পরিবারের কোনো পড়ুয়া স্কুলে পড়াশোনা করে নাই । তাই তিনি ওই জামা সম্পর্কে কিছু জানেন না । সুতরাং আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে ।’ কিন্তু জামাগুলি কি করে ছাগলেত পোশাক হয়ে গেল সেই সম্পর্ক তিনি কিছু জানাতে পারেননি৷ অন্যদিকে ছাগল মালিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তাদের পরিবারের কোনো পড়ুয়া স্কুলে পড়াশোনা করে না । কয়েকটি স্কুল ইউনিফর্ম বাড়িতে ছিল এবং তীব্র ঠান্ডার কারণে সেই জামগুলি ছাগলগুলিকে পড়িয়ে মাঠে চরাতে নিয়ে গিয়েছিলেন ।।