জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),০৬ জানুয়ারী : ‘বিদ্যারদেবী সরস্বতী’ পুজো আদপেই হবে কি না নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন শিক্ষক- ও শিক্ষার্থীরা । মনের মধ্যে আশঙ্কা – শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় চালু হবে তো ? আবার সরস্বতী পুজোর আনন্দে সকলে মেতে উঠতে পারবে তো? শেষ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হলেও পুজোর আগের দিন একটানা প্রবল বৃষ্টি। আবার একরাশ আতঙ্ক। তার মাঝেই রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মুষ্টিমেয় ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মেতে উঠলেন আলপনাসহ পুজোর আয়োজন করতে।
বিদ্যালয়ের ছাত্রী উশ্রী, বৃষ্টি, সুপ্রিয়া, সুকন্যাদের নিয়ে পুজোর আয়োজন করলেন গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকা সুদেষ্ণা ও সর্বাণী দেবী। উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষিকা সবিতা ঘোষ সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা এবং শিক্ষাকর্মী গৌতম দাস সহ অন্যান্যরা। ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সদস্য কুশল মুখার্জ্জী, সুব্রত শ্যাম সহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক ও অভিভাবিকা। এখানে এবার বিখ্যাত কুমোরটুলি থেকে ঠাকুর আনা হয়েছিল। বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উপস্থিতি তুলনামূলক ভাবে কম হলেও যারা উপস্থিত ছিল তাদের মধ্যে উৎসাহের ঘাটতি ছিল না ।
অন্যদিকে ছাত্রী রিনা খাতুন, মীর সানিয়া প্রমুখদের নিয়ে পুজোর আয়োজনে মেতে উঠলেন বর্ধমানের রথতলা মনোহর দাস বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রুপা বিশ্বাস ও রুমা ঘোষ মজুমদার। তাদের তৈরি আলপনা ছিল দৃষ্টিনন্দন। সারাক্ষণ পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দিয়ে গেলেন প্রধান শিক্ষক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক
অভিজিৎ সাহা, লক্ষণ কবিরাজ, বিশ্বনাথ দাস, উৎপল নন্দী, সুদীপ পাল প্রমুখ ।
উভয় বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বক্তব্যের মধ্যে একই সুর ধরা পড়ল। বর্ধমানের ছাত্রী রিনার বক্তব্য – আমরা ছাত্রসমাজ। সরস্বতী পুজো আমাদের কাছে একটা আলাদা তাৎপর্য বয়ে আনে। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও যখন স্বাভাবিক গাম্ভীর্য দূরে সরিয়ে রেখে আমাদের সঙ্গে শিশুসুলভ আনন্দে মেতে ওঠেন খুব ভাল লাগে ।
সুদেষ্ণা দেবী বললেন – শ্রেণিকক্ষে স্বাভাবিক দূরত্ব বজায় থাকলেও আজ আমরা পাশাপাশি বসেই আলপনা দেওয়া থেকে শুরু করে পুজোর আয়োজন ও পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছি। আজ খুবই আনন্দের দিন।
অন্যদিকে বিনায়ক বাবুর বক্তব্য – ছাত্র থাকার সময় আমরাও সরস্বতী পুজোর দিন আনন্দে মেতে উঠতাম। আজ সন্তানসম ছাত্রছাত্রীদের পুজোয় মেতে উঠতে দেখে ওদের সঙ্গে আমরাও আনন্দ করলাম। খুব ভাল লাগছে ।’।