জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,শিয়ালদহ,১৪ ফেব্রুয়ারী : দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্ৰামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মাসুন্দী মহিমাচরণ মিশ্র মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল সোসাইটি আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রী ও দুস্থ পরিবারগুলির দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে চলেছে। কিন্তু সাহিত্যচর্চা জগতের প্রতিও যে তাদের আলাদা আকর্ষণ আছে জনসেবার চাপে সেটা চাপা পড়ে যেত।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) শিয়ালদহের কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হলে সংস্থাটি পরিচালিত ‘জ্ঞান ও চেতনা’ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। একইসঙ্গে দশম সারা বাংলা কবি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের ১৩ টি জেলার প্রায় তিনশো কবি অংশগ্ৰহণ করেন। এদের মধ্যে ১৯৮ জন কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক কবিকে স্মারক, মানপত্র, কলম ও ব্যাজ দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে গত দশ বছরের মত এবছরও উত্তর কলকাতার ‘ইদানিং নাট্য গোষ্ঠী’ -র সদস্যরা উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুকুমার রুজ, বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক প্রবীর জানা সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরেই সংস্থাটির সঙ্গে যুক্ত আছেন বিশিষ্ট কবি তথা সঙ্গীত শিল্পী ও সমাজসেবী হুগলীর গুড়াপের মন্দিরা মুখার্জ্জী। তিনি বললেন,প্রত্যন্ত গ্ৰামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যেভাবে কলকাতার বুকে এতবড় একটি অনুষ্ঠান করে দেখালো সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার মতে সংগঠনের সম্পাদিকা অনামিকা চক্রবর্তীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল এটি।
অন্যদিকে অনামিকা দেবী বললেন,নানা ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের সংস্থার প্রত্যেক সদস্য সক্রিয় থাকার জন্য আমরা এই অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি আগামীদিনেও আমরা সমাজের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতা পালন করতে পারব।
প্রসঙ্গত,গতবছর ডিসেম্বর মাসে সংস্থাটি কেতুগ্রাম ও তার আশেপাশের প্রায় সাতটি গ্রামের সহস্রাধিক দুস্থ মানুষের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দিয়েছিল ।।