এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,২৫ সেপ্টেম্বর : মুম্বাইয়ের রাস্তায় উঠল ‘গুস্তাখ এ রসুল কি এক হি সাজা,সর তন সে জুদা’ শ্লোগান । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৌলবাদী মুসলমানদের এই ভিড় বিজেপি নেতা নীতীশ রানে এবং সাধু রামগিরি মহারাজের বিরুদ্ধে এই প্রকার উস্কানিমূলক স্লোগান দেয় । এআইএমআইএম নেতা ইমতিয়াজ জলিলের উসকানিতে প্রচুর মুসলিম দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীকে পঙ্গু করার চেষ্টা করে । স্বব্ধ করে দেয় যানবাহন চলাচল । কিন্তু কঠোর পদক্ষেপ নেয় মুম্বাই পুলিশ । পুলিশ লাঠিপেটা করে লাখ খানেকের ভিড় ছত্রভঙ্গ করে দেয় ।
মুম্বইয়ের অনেক ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে মুম্বইয়ের সীমান্তে লক্ষাধিক ভিড় জমেছে। এতে হাজার হাজার যানবাহনও রয়েছে। যানবাহনে সবুজ ইসলামি পতাকা উত্তোলন করা হয়। অনেক মৌলবীকেও এই ভিড়ের মধ্যে দেখা গেছে । এক মৌলবীর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। এই ভিডিওতে অনেকেই মৌলবীদের সাথে করমর্দন করছেন। ওই মৌলবীর নাম সৈয়দ মঈন বলে জানা গেছে। সে এআইএমআইএম-এর মহারাষ্ট্রের সহ-সভাপতি। তাকে ঘিরে জড়ো হয়েছে মুসলিম যুবকদের দল।।
মৌলবীর কাছে জড়ো হওয়া মুসলিম জনতা প্রথমে ‘নারা-ই-তাকবীর, আল্লাহ-হু-আকবর’ এবং তারপর ‘সর তান সে জুদা’-এর মতো উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। সেই সময় সৈয়দ মইনের কনভয় সম্ভাজিনগরের কাছে ছিল বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে, এআইএমআইএম নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ ইমতিয়াজ জলিল মুসলমানদের মুম্বাই অচল করার ঘোষণা করেছিলেন। তিনি মহারাষ্ট্রের মুসলমানদের ‘চলো মুম্বাই’ ডাক দেন । নীতেশ রানে এবং রামগিরি মহারাজের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে প্রতিবাদ করার জন্য মুম্বাইতে ব্যাপক পুলিশি পদক্ষেপ শুরু করে ৷ পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় । মুম্বাইয়ে মুলুন্ডের কাছে রাস্তা অবরোধ করার জন্য বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত,স্বামী রামগিরি মহারাজ সম্প্রতি একটি সভায় ইসলাম সম্পর্কে এমন কিছু বলেছিলেন, যাকে মুসলমানরা ইসলামের অবমাননা বলে মনে করে এবং তাকে গ্রেপ্তারের দাবি শুরু করে। হুমকি পেয়ে স্বামী রামগিরি মহারাজকে রক্ষা করেছিলেন নীতীশ রানে। নীতীশ রানে বলেছিলেন যে স্বামী রামগিরি মহারাজের কোনও ক্ষতি হলে হিন্দুরা তার জবাব দেবে। নীতেশ রাণের আরও দু-একটি বক্তব্যের কারণে মুম্বাই অচল করার ডাক দেয় মুসলমানরা। যদিও এই বে আইনি জমায়েত রুখকে মুম্বাইয়ের অনেক রুট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। তবে মৌলবাদীদের এই জমায়েতকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি বিধায়ক নীতেশ রানে । মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) একটি টুইট করে তিনি হালকা মেজাজে টিফিন করার কথা লিখেছেন।
এর আগে ২০২২ সালে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে ‘স্যার তান সে জুদা’ স্লোগান তোলা হয়েছিল। এরপর থেকে নিরাপত্তা নিয়েই থাকতে হচ্ছে নূপুর শর্মাকে। হিন্দু নেতা কমলেশ তিওয়ারির বিরুদ্ধে একই ধরনের স্লোগান তোলা হয়েছিল, যাকে পরে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল।।