এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,২৯ ফেব্রুয়ারী : দীর্ঘ ৫৫ দিন পর অবশেষে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালির “ত্রাস” তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হল । সন্দেশখালি এলাকার বেড়মজুর থেকেই ওই কুখ্যাত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে । এর আগে সন্দেশখালির মহিলাও অভিযোগ তুলেছিলেন যে এলাকাতেই লুকিয়ে আছে শাহজাহান এবং পুলিশ সব জেনেও মুখ ফিরিয়ে আছে । অবশেষে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের সেই অভিযোগই সত্যি প্রমাণিত হল । খুন, ধর্ষণ, জমিজায়গা জবরদখল, ইডির আধিকারিকদের উপর হামলা প্রভৃতি গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে আজ বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তুলে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে বলে খবর ।
গত ৫ জানুয়ারী রেশন দুর্নীতির তদন্তে যাওয়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকদের উপর ‘রোহিঙ্গা বাহিনী’ লেলিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহান । শুধু ইডির উপরে হামলাই নয়,শাহজাহান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকার মহিলাদের ‘পিঠে করার’ নাম করে ডেকে গনধর্ষণ,জোর করে একরের পর একর জমি ও মাছের ভেড়ি জবরদখল,খুনের মত মারাত্মক সব অভিযোগে সরব হন এলাকার বাসিন্দারা । পুলিশ আন্দোলনের চাপে পড়ে শাহজাহানের দু’একজন সাগরেদকে গ্রেফতার করলেও শাহজাহানকে গ্রেফতারের কোনো আগ্রহই দেখায়নি বলে অভিযোগ ।
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও খাতায় কলমে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষের পদে আছেন । তার বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ উঠলেও দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তথাকথিত ‘মা-মাটি-মানুষ’-এর শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে একরাশ প্রশ্ন উঠছে । এমনকি শাহজাহানের প্রতি ‘নরম মনোভাব’ আড়াল করতে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক ব্যানার্জি কলকাতা হাইকোর্টকেই কাঠগড়ায় তুলছিলেন বলে অভিযোগ উঠছিল । দীর্ঘ ৫৫ দিন ধরে টালবাহার পর শেষ পর্যন্ত শাহজাহানকে গ্রেফতার করায় খুশি সন্দেশখালির মানুষ ।।