এইদিন ওয়েবডেস্ক,চন্ডিগড়,১৯ মার্চ : পেশাগত শত্রুতার কারনেই খুন হতে হয়েছে আন্তর্জাতিক কাবাডি খেলোয়াড় সন্দীপ নাঙ্গল আম্বিয়াকে । শনিবার এমনই জানালো পাঞ্জাব পুলিশ । পুলিশ দাবি করেছে, এই খুনের মাস্টার মাইন্ড অন্টারিওর ন্যাশনাল কাবাডি ফেডারেশন পরিচালক কানাডা ভিত্তিক স্নোভার ধিলোন (Snover Dhillon) । প্রসঙ্গত,গত ১৪ মার্চ জলন্ধরের মালিয়ান গ্রামে কাবাডি ম্যাচ চলাকালীন পাঁচজন অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর সন্দীপকে গুলি করে খুন করে পালিয়ে যায় । এ ঘটনায় স্নোভার ধিলোনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রজু করা হয় ।
পুলিশ সুত্রে খবর, ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এই খুনের ঘটনায় ধিলোনের যোগসুত্র পায় । উঠে আসে বিভিন্ন জেলে বন্দি ৪ কুখ্যাত দুষ্কৃতীর নাম । তারপর ওই ৪ কুখ্যাত দুষ্কৃতী সাঙ্গরুরের বাসিন্দা ফতেহ সিং ওরফে যুবরাজ,হরিয়ানার গুরুগ্রামের নাহারপুর রূপার কৌশল চৌধুরী, হরিয়ানার মহেশপুর পালভান গ্রামের অমিত ডাগর এবং উত্তরপ্রদেশের মাধোপুর পিলিভীত গ্রামের গ্যাংস্টার সিমরঞ্জিত সিং ওরফে জুজহার সিং-কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজের হেফাজতে নেয় পাঞ্জাব পুলিশ । ওই চার দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে খুন,খুনের চেষ্টাসহ ২০ টির বেশি গুরুতর অভিযোগে মামলা চলছে । তাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
ডিজিপি ভি কে ভাওরা বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ফতেহ সিং স্বীকার করেছেন যে স্নোভার ধিলোন অনেক খেলোয়াড়কে ‘দ্য ন্যাশনাল কাবাডি ফেডারেশন অফ অন্টারিও’-তে যোগ দেওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু বেশিরভাগ নামী খেলোয়াড়রা যুক্ত ছিলেন সন্দীপ নাঙ্গল আম্বিয়া পরিচালিত ‘মেজর লিগ কাবাডি’-এর সাথে । ফলে ধিলোনের ফেডারেশন সাফল্য পাচ্ছিল না । আর সেই কারনেই স্নোভার ধিলোনের নির্দেশে তিনি অমিত ডাগর, কৌশল চৌধুরী, জগজিৎ সিং, লাকি পাতিয়াল এবং সুখা দুনেকে নিয়ে সন্দীপকে খুন করা ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেন । তারপর তারাই শার্প শ্যুটারদের সঙ্গে কথা বলে ।’
পুলিশ জানিয়েছে,অমৃতসরের বাসিন্দা স্নোভার ধিলোন বর্তমানে কানাডার অন্টারিওর(Ontario)
ব্রাম্পটনে ( Brampton) বসবাস করছেন । তিনি কানাডিয়ান সাথ টিভি এবং রেডিও শো-এর একজন প্রযোজক ও পরিচালক । ধিলোন ছাড়াও পুলিশ সুখবিন্দর সিং ওরফে সুখা দুনেকে,জগজিৎ সিং ওরফে গান্ধীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা রজু করেছে । অভিযুক্তদের মধ্যে সুখবিন্দর বর্তমানে কানাডায় থাকেন । তাঁর আদি বাড়ি দুনেকে গ্রামের পাশে মোগা(Moga) গ্রামে । লুধিয়ানার ডেহলনের বাসিন্দা গান্ধী বর্তমানে মালয়েশিয়ার বাসিন্দা ।
জলন্ধর গ্রামীণ পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট সতীন্দর সিং সাংবাদিকদের বলেন,’সুখবিন্দরের নির্দেশে সিমরঞ্জিত ওরফে জুজহার শার্প শ্যুটারদের অমৃতসরের প্রীতম এনক্লেভের বাসিন্দা স্বরণ সিং নামে জুজহারের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায় । সেখান থেকে পরের দিন তারা জলন্ধরের মালিয়ান গ্রামে গিয়ে গুলি করে খুন করে ওই খেলোয়াড়কে ।’ তিনি জানিয়েছেন,স্বরণের বাড়ি থেকে ১৮ টি কার্তুজ এবং একটি ১২ এমএম রাইফেল উদ্ধার হয়েছে । তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বরণ সিং । পুলিশ স্বরণসহ সুপারি কিলারদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ।।