এই তো সেদিন নীলাম্বরী
ফিরছি বাড়ি নির্জন পথে
অন্ধকারে গা ছমছম ভয়ে।
পাশ দিয়ে নির্ভয়ে চলে যায় শৃগাল
চোখ হলুদ মার্বেলের মতো ছটায় ছটায় ঠিকরে পড়া উজ্জ্বল আলো…।
আমি অবাক হয়ে সেখানে দেখি
হলুদ গাঁদার খোঁপা বাঁধা তোমাকে।
ভয় কি বলো ? সঙ্গে থাকো যদি ফাঁকা মাঠে অমাবস্যার চেয়েও অন্ধকারে …
আমার সাহস দ্বিগুণ বাড়ে।
বুঝলে নীলাম্বরী এই ভাবেই সঙ্গে থেকো আমার
বুকে হাত দিয়ে দ্যাখো স্পন্দনের ঠিকঠাক।
ভালো করে বুঝতে না পারলে বুকের ‘পরে কান পাতো
তুমি কান পাতলেই আমার ডায়াস্টোল সিস্টোল সিস্টেম ঠিকঠাক।
দিব্যি দিয়ে দিব্যকেটে দিব্যসৃষ্টিতে
আমি যে দেখি নূপুরের শব্দে
কোমরের ভাঁজে
বুকের ঢেউয়ে
পাতলা ঠোঁটে
ঝকঝকে দাঁতের সোনাঝরা হাসিতে তোমাকে
কেবলমাত্র তোমাকেই….!
সে তুমি ,সে তুমিই !
জনশূন্য সবুজ মাঠে,
দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্রের উথাল পাথাল জলকেলিতে,
অসীম মহাশূন্যে,
অথবা নক্ষত্রের সংসারে
বা অগণিত জনতার ভিড়ে জনসমুদ্রে।
আমি যে দেখি তোমাকে
নীল শাড়িতে আমার কাছে,
বড্ডো বেশি কাছে!
তুলতুলে নরম ঠোঁটে
নীলাম্বরী আমার,
আমার সম্রাজ্ঞী হয়ে ওঠে ।।