এইদিন ওয়েবডেস্ক,সুইডেন,৩০ জানুয়ারী : সুইডেনের স্টকহোমে ইরাকি ইসলাম বিরোধী কর্মী সালওয়ান মোমিকাকে গুলি করে হত্যা করেছে একজন ইসলামি সন্ত্রাসী । মোমিকা মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কোরানকে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ি করতেন । তার কথায়, ‘কোরান অমুসলিমদের হত্যা করতে শেখায়’ । জীবিতবস্থায় সুইডেনের রাস্তায় পুলিশের নিরাপত্তায় একাধিকবার কোরানের কপি পুড়িয়ে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছিলেন সালওয়ান মোমিকা । ভারতেও হিন্দুদের একটা বড় অংশ মোমিকার অনুরাগী রয়েছে ৷ এমনকি ভারতে একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোরান পোড়ানোর জন্য তিনি ইসলামি রাষ্ট্র ও অমুসলিম দেশগুলির শরণার্থী মুসলিমদের নিশানায় চলে আসেন মোমিকা । তাকে বারবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল । ইরাকের জিহাদিরা তার মাথার উপর ২ মিলিয়ন ডলার এবং একটি সোনার কোরান পুরস্কার স্বরূপ ঘোষণা করেছিল৷
পাকিস্তানি বংশভূত ব্রিটিশ নাগরিক ইমতিয়াজ মেহমুদ এক্স-এ লিখেছেন,’ইরাকি সালওয়ান মোমিকা,যিনি কোরান পোড়ানোর জন্য পরিচিত, গতরাতে সুইডেনের সোডারতালেজে তার অ্যাপার্টমেন্টে লাইভ স্ট্রিমিং করার সময় সশস্ত্র হামলায় নিহত হন। সালমান রুশদি, চার্লি হেবডো, থিও ভ্যান গঘ, ডেভিড আমেস এবং আরও কয়েকজনের উপরেও ইসলামের নামে এবং বাক স্বাধীনতার জন্য হামলা হয়। ইসলামের এবং বিরুদ্ধে। এটি ইসলামী ধর্মগ্রন্থে নিহিত: কোরান ৫:৩৩- কাফেররা ইসলামের সমালোচনা করলে তাদের ক্রুশবিদ্ধ করুন।
ডক্টর ডেভিড উড নামে একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘নাস্তিক ইরাকি উদ্বাস্তু সালওয়ান মোমিকা মারা যাওয়ার প্রাথমিক কারণ এই নয় যে তিনি কোরান পুড়িয়েছেন। তার মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হল পশ্চিমা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, পুলিশ এবং শিক্ষাবিদরা ক্রমাগত এমন লোকদের পক্ষ নেন যারা চেয়েছিলেন তাকে(মোমিকা) হত্যা করতে।’
ব্রাদার রচিদ লিখেছেন,’২০২৩ সালের ২৭ জুলাই, আমি আমার শোতে সালওয়ান মমিকাকে হোস্ট করেছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি কোরান পোড়ানোর সাথে একমত নই, তবুও এটি বাক স্বাধীনতার অংশ, আমরা এটি পছন্দ করি বা না করি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন সে এটা করছে, এবং সে জবাব দিল যে কোরান অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উস্কে দেয়। গতকাল, টিকটকে লাইভ স্ট্রিম করার সময়, তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে । যে মুসলিমরা তাকে হত্যা করেছিল তারাই তার কথা প্রমাণ করল।’ এদিকে সালওয়ান মোমিকার হত্যার পর কেউ কেউ লিখেছেন,’সালওয়ান মমিকা আর নেই তবে তার সাহসিকতা অনেককে অনুপ্রাণিত করবে। দীর্ঘজীবী সালওয়ান মমিকা ।’।