এইদিন ওয়েবডেস্ক,নিউইয়র্ক,২৪ অক্টোবর : জিহাদি হামলায় এক চোখের দৃষ্টিশক্তি এবং এক হাতের কর্মক্ষমতা হারালেন বুকারজয়ী ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক লেখক সালমান রুশদি ৷ লেখকের প্রতিনিধি অ্যান্ড্রু ওয়াইলি রবিবার স্পেনের সংবাদপত্র এল পাইসকে বলেছেন,রুশদি এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। তাঁর বুকে ১৫ টির মতো ক্ষতচিহ্ন রয়েছে । ঘাড়ে তিনটি আঘাত করা হয়েছিল,আঘাতগুলো খুব গুরুতর ছিল । এই কারণে রুশদি এক হাতের কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন । কারণ ছুরিকাঘাতে হাতটির নার্ভ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।’ তবে রুশদি এখন কোথায় আছেন এই বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে অস্বীকার করেছেন । উল্লেখ্য,গত ১২ আগস্ট নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে সালমান রুশদির ওপর হামলা চালায় মার্কিন নাগরিক তরুণ হাদি মাতার (২৪) নামে এক জিহাদি । ধারালো ছুরি দিয়ে সে বর্ষীয়ান লেখক সালমান রুশদিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করেছিল । কিন্তু বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যান লেখক ।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সালমান রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে মিডনাইট’স চিলড্রেন বইয়ের জন্য বুকার পুরস্কার জেতেন তিনি । সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সালে তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ । ১৯৮৮ সালে রুশদির চতুর্থ বই “দ্য স্যাটানিক ভার্সেস” প্রকাশিত হয় । বইটি প্রকাশের পর স্বজাতীয়দের কাছ থেকে একাধিকবার হত্যার হুমকি পান তিনি । বইটিতে নবীর অপমান করা হয়েছে এই অভিযোগে রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি । লেখকের মাথার দাম ৩০ লাখ মার্কিন ডলার ঘোষণা করা হয় । আর এই কারনে দীর্ঘ ১০ বছর আত্মগোপনে থাকতে হয় রুশদিকে । আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মরার পর ফের জনসমক্ষে দেখা যায় রুশদিকে । খামেনির ফরমানের কারনেই ওই যুবক রুশদিকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিল কিনা, তা জানা যায়নি ।।