এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,৩০ মে : রবিবার উত্তর পশ্চিম দিল্লির শাহবাদ ডেইরিতে ১৬ বছরের কিশোরী সাক্ষীর হাড় হিম করা খুনের সিসির ফুটেজ সামনে আসার পর থেকেই তোলপাড় চলছে দেশ জুড়ে । এরই মাঝে একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন মৃতা সাক্ষীর বান্ধবী নীতু । মৌনতা ভেঙে তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন সাহিল খানকে হিন্দু বলে মনে করত তার বান্ধবী সাক্ষী । অনেক দিন ধরেই কোনো কারণে তাদের মধ্যে ঝগড়াও চলছিল বলে তিনি জানিয়েছেন বলে ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে । এদিকে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে ঘাতক সাহিলকে তার এক চাচীর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর একটা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে । ছবিতে একজন পুলিশ কর্মীর পায়ের নিচে হাঁটু মুড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে সাহিলকে । তার ডান হাতে বাঁধা রয়েছে একটা লাল রঙের তাগা । ফলে নিজের ধর্মপরিচয় গোপন করে সে সাক্ষীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
এদিকে দিল্লি পুলিশের একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেছেন যে অভিযুক্ত কয়েকদিন আগে থেকেই নাবালিকা সাক্ষীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল, সে সন্দেহ করেছিল যে সাক্ষী তার প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক রেখে চলছে । পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযুক্ত প্রাথমিক তদন্তের সময় একই গল্প বলেছিল
রবিবার সন্ধ্যায় সাক্ষীর শরীরে ২০ বার ছুরিকাঘাত করে ঘাতক সাহিল খান, এলোপাথাড়ি লাথি মারে এবং শেষে একটা সিমেন্টের স্ল্যাব তুলে সাক্ষীর মাথা থেঁতলে দেয় । প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে যে মৃতা কিশোরীর শরীরে ৩৪ টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং তার মাথার খুলি ভেঙে গেছে ।এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এবং মৃতার পরিবারের সাথে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে যে রবিবার রাতে সাক্ষী তার বান্ধবীর ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল । সেই সময় ঘটনাস্থলের কাছে লুকিয়ে বসে ছিল সাহিল খান । সাক্ষী ওই রাস্তা দিয়ে যেতেই সাহিল তার উপর একটা ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে । তারপর নৃসংশভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মেয়েটিকে খুন করে সে । সোমবার রাতে ধৃত সাহিল খানের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয় এবং আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে ২ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ।।