প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৫ জুলাই : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শুক্রবার ইডির জোরার মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। বুধবার ফের তাঁর ইডি দফতরে হাজিরা দেবার কথা ছিল। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের জন্য সায়নী এদিন পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে পৌছে যান।সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে হওয়া তৃণমূলের রোড শোয়ে অংশ নেন সায়নী ঘোষ। টেনশান বা মানসিক চাপে থাকার কোন লক্ষণ অবশ্য তৃণমূলের যুব নেত্রীর চোখে মুখে এদিন দেখা যায় নি। রোড শোয়ে তিনি বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন।
রোড শো চলাকালীন সাংবাদিকরা সায়নী ঘোষের কাছে ইডি দফতরে হাজিরা না দেওয়ার কারণ জানতে চান । উত্তরে সায়নী জানান,নথি পঠিয়ে দিয়েছি। ওনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি,যদি দরকার হয় অনলাইনে বা ভার্চুয়ালি কথা বলতে পারি।মোটে দু’দিন আর রয়েছে। যুব নেত্রী হিসাবে আমার প্রচার করার দায়িত্ব রয়েছে সেটা আগের দিন জানিয়ে এসেছিলাম ।১১ ঘন্টা জেরা হয়েছে।সহযোগীতা করেছি। আজকে নথি পাঠিয়েছি। ১১ তারিখের পর ভোট মিটে গেলে যতবার ডাকবে সশরীরে হাজিরা দেব। এর বেশী আর কোন কথা সায়নী বলতে চাননি। সায়নীর এমন সাফাইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইডি কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয় ।
সায়নী ঘোষের বক্তব্য শুনুন 👇
প্রসঙ্গত,প্রথমবার ইডি ডাক পাওয়ার পর সায়নী ঘোষ কার্যত যেন অদৃশ্য হয়ে যান।২৮ জুন তাঁর পূর্ব বর্ধমানের জামলপুরে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবার কথা থাকলেও তিনি ওই সভায় হাজির হন নি। শেষে সভা বাতিল হয়। মূলত শিক্ষক দূর্নীতি কণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া কুন্তল ঘোষর সঙ্গে সায়নী ঘোষের কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা, তার কাছ থেকে সায়নী কোনও আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন কিনা, কোনও সম্পত্তি নেওয়া হয়েছে কিনা এই সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে ইডি সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে বেশ কিছু নথি সায়নীর কাছে চায় ইডি। সোমবারর পরিবর্ত এদিন বুধবার ওইসব নথি নিয়ে ইডি দফতরে সায়নী ঘোষের হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি নিজেই হাজিরা এড়িয়ে গেলেন।।