নীহারিকা মুখার্জ্জী,শিয়ালদহ,০৯ আগস্ট : ওদের কেউ কেউ পেশাগত জীবনে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে থাকে চরম ব্যস্ত। কেউ ব্যস্ত গৃহস্থালির কাজে, কেউবা পড়াশোনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের আলোর ঠিকানা খোঁজার কাজে ব্যস্ত। সারাদিনের কঠোর পরিশ্রমের পর দিনের শেষে ক্লান্ত শরীরটা বিশ্রামের সুযোগ খোঁজে। তারও মাঝে ক্লান্তি ভুলে সাহিত্যকে ভালবেসে ওরা সাহিত্যচর্চা করে চলেছে। কাব্যচর্চার লক্ষ্যে মাত্র ছয় মাস আগে গড়ে তোলেন ‘কবিতার তাঁতঘর’। মনের মধ্যে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিল সাহিত্য সংকলন প্রকাশ করা। অবশেষে সেই স্বপ্নও ওদের পূরণ হয়। ওরা ছয় অভিন্ন হৃদয় সাহিত্যপ্রেমী দেবাশীষ দাস, শিবানী চ্যাটার্জ্জী, শতমন্যু রায়, কুণাল মুখার্জ্জী, অলি দাস ও অনিতা মুদি । ১৪৫ জন কবি প্রতিভার সৃষ্টিকে পাথেয় করে সম্প্রতি ‘কবিতার তাঁতঘর’-এর উদ্যোগে শিয়ালদহের কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হলে শ্রদ্ধেয় গুণীজনদের উপস্থিতিতে ‘মহুল’ পত্রিকার প্রথম মোড়ক উন্মোচিত হয়।
অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় কবি-সাহিত্যিক আরণ্যক বসু, কবি পিনাকী শঙ্কর চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট কবি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কবিরা স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। দুই বিশিষ্ট কবি কাব্য-সাহিত্য সম্পর্কে মননশীল আলোচনা করেন এবং নিজেদের উপর আস্থা রাখার জন্য নবীন প্রতিভাদের পরামর্শ দেন। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে সদ্য প্রকাশিত ‘মহুল’।
একজন তাঁত শিল্পী যেমন একটা একটা করে সুতো নিয়ে অসাধারণ শিল্পকর্মের নিদর্শন রাখেন তেমনি সেই ভাবনার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে চলেছে ‘কবিতার তাঁতঘর’। লক্ষ্য একটাই বাংলা কাব্য জগতে নিজস্ব মৌলিক ভাবনার ছাপ রেখে যাওয়া। একইসঙ্গে নবীন কবি-প্রতিভাদের কাব্যচর্চায় উৎসাহিত করা।
অনিতাদেবী বললেন,’প্রথমবার হলেও লক্ষ্য পূরণে আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। আশাকরি আগামী দিনে আরও অনেক কবি প্রতিভা তাদের সৃষ্টি সম্ভার নিয়ে ‘মহুল’ বনে হাজির হবেন। তার কাছেই জানা গেল বছরে দু’বার করে তারা পত্রিকা প্রকাশের চেষ্টা করবে ।’।