এইদিন ওয়েবডেস্ক,মস্কো,০৪ এপ্রিল : ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিজের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত । কারন রুশ সেনার একাংশের সঙ্গে তাঁর তিক্ততা । আর তার ফলে তিনি আশঙ্কা করছেন যে কোনো সময় নিজেদের লোকের হাতেই খুন হয়ে যেতে পারেন । তাই রুশ প্রেসিডেন্ট ‘বডি ডাবল’ রেখেছেন বলে খবর । ক্রেমলিনে জরুরি বৈঠকেও সেই বডি ডাবল’ অংশ নিচ্ছে বলে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে ।
কিন্তু নিজের দেশের সেনাবাহিনীর একাংশ কেন হঠাৎ শত্রু হয়ে গেল পুতিনের ? এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগের প্রধান কেট বেডিংফিল্ডয়ের (Kate Bedingfield) কথায়,’আমাদের কাছে খবর আছে পুতিন রাশিয়ান সামরিক বাহিনী দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছেন যার ফলে পুতিন এবং তার সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্রমাগত উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে ।’
প্রসঙ্গত,পুতিন ইউক্রেনকে যতটা সহজে কবজা করতে পারবেন বলে ভেবেছিলেন, হয়েছে ঠিক তার উলটো । আমেরিকা দাবি করছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এযাবৎ ১৫ হাজার রাশিয়ান সেনা মারা গেছে । নিহতদের তালিকায় কয়েকজন জেনারেলও রয়েছেন । আর এই কারনে রুশ সেনার শীর্ষ আধিকারিকদের উপর ক্ষুব্ধ পুতিন । সম্প্রতি আট জেনারেলকে তিনি বহিষ্কারও করেছেন । আর এতে প্রেসিডেন্টের উপর অসন্তুষ্ট বহিষ্কৃত রুশ জেনারেলরা । এখন তারাই গোপনে পুতিনের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে । তাই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘বডি ডাবল’ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে খবর । তবে বিষয়টি যদি সত্যি হয় তাহলে রাশিয়ার ইতিহাসে নেতাদের ‘বডি ডাবল’ নিয়ে ঘোরা এই প্রথম নয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্ট্যালিনও নিজের জন্য চারটি ‘বডি ডাবল’ নিয়োগ করেছিলেন ।
রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, আগের তুলনায় পুতিনের নিরাপত্তা এখন অনেক কড়াকড়ি করা হয়েছে । নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা প্রেসিডেন্টের সব খাবার পরখ করে তবেই তাঁকে খেতে দিচ্ছেন । তাদের অনুমতি ছাড়া পুতিনের কাছে এখন কেউ ঘেষতে পর্যন্ত পারে না ।
কিন্তু এত করেও কি ঘরে শত্রু বিভীষণদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন পুতিন ? এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিকের কথায়, ‘বরখাস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তারা পুতিনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব গোপন খবরই জানেন । তাই আগামী কয়েক মাসে যদি হঠাৎ করে শোনা যায় পুতিন মারা গেছেন, তাহলে তাতে খুব একটা অবাক হওয়ার কারন নেই । কারন তখন হয়তো রুশ সেনাবাহিনী জানাবে, দীর্ঘ অসুস্থতা বা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন পুতিন । আসলে হয়তো তিনি খুন হয়েছেন ।’।