এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৪ অক্টোবর : পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাদে বয়সে ৫ বছরের ছোট “ভাতিজা” র সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুই সন্তানের জননী “চাচি” ৷ বয়সে ৫ বছরের ছোটো “ভাতিজা” র সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কথা জানতে পেরে মহিলার স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দেয় । যেকারণে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ‘ভাতিজা’র বাড়িতে টানা ৬ দিন ধরে ধর্নায় বসেছেন প্রেমিকা “চাচি” । ঘটনাটি বাংলাদেশের গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের ব্যাপারীপাড়ার । এদিকে প্রেমিকার সাথে তার দুই সন্তানের দায়িত্ব নিতে হবে দেখে চম্পট দিয়েছে প্রেমিক । এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল লক্ষ্য করা গেছে । গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যম গিয়ে দেখে যে ভাতিজা প্রেমিক আব্দুল আজিজ (২০)-দের বাড়ির উঠানে ধর্নায় বসে থাকা তার “চাচি” প্রেমিকা রুবিনা খাতুন (২৫)কে ঘিরে রয়েছে প্রচুর লোকজন । কিন্তু মহিলার প্রেমিকের বাড়ির লোকেরা সাংবাদিক দেখেই বাড়ির সদর দরজায় খিল দিয়ে দেয় ।
জানা গেছে,চাচি রুবিনা খাতুন (২৫) ওই গ্রামের মাইদুল ইসলামের স্ত্রী এবং তিনি দুই সন্তানের জননী। আর ভাতিজা আব্দুল আজিজ (২০) মাইদুল ইসলামের আপন চাচাতো ভাই গণি মোল্লার ছেলে। গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) নিজের শোবার ঘরে স্ত্রী রুবিনা ও ভাইপো আজিজকে যৌন মিলনে রত অবস্থায় দেখেন স্বামী মাইদুল ইসলাম । এরপর মাইদুল সেখানেই তিন বার “তালাক” উচ্চারণ করে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেন । তারপরেই দুই সন্তানকে নিয়ে পাশাপাশি ‘ভাতিজা’ প্রেমিক আব্দুল আজিজের উঠানে ধর্নায় বসেন বিয়ের দাবিতে । স্থানীয় বাসিন্দারাও চাইছেন যে “চাচি- ভাতিজা” র নিকাহ হোক ৷ কিন্তু একসাথে ৩ জনের দায়িত্ব নিতে হবে দেখে বেঁকে বসে আব্দুল আজিজ। এদিকে, গত ৬ দিনেও বিষয়টির কোনো সমাধান না হওয়ায় প্রেমিক ‘ভাতিজা’র পরিবারের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় চাচি রুবিনা ও ভাতিজা আব্দুল আজিজ নিয়মিত যাতায়াত করত । আর এই সুবাদেই গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। স্থানীয়দের দাবি দুই-তিন বছর ধরে এই সম্পর্ক চলায় এর আগেও ওই চাচি গিয়ে উঠেছিলেন মোল্লাবাড়িতে। তখন তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠাতে পারলেও এবার বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে অনড় অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এদিকে বেগতিক বুঝে পালিয়েছে প্রেমিক আব্দুল আজিজ।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় । ভিডিওতে ওই প্রেমিকা “চাচি”কে বলতে শোনা যায়, তিনি প্রেমিক ভাতিজার হাত ধরে বলেছিলেন তাকে (রুবিনা) বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তার স্বামী। সে আর রাখবে না তাকে। তিনি আরো বলেন, তাকে অভয় দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ভাতিজা। পরে রুবিনাকে নিকাহ করতে অস্বীকার করলে প্রেমিকের বাড়িতে ধর্ণায় বসেন তিনি।
এদিকে “চাচি-ভাতিজা”র অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে । দিনভর আব্দুল আজিজের বাড়ির আশেপাশে ভিড় লেগেই রয়েছে । বিশেষ করে স্থানীয় মহিলাদের মধ্যে আগ্রহ সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷কেউ কেউ নিন্দার ছলে এনিয়ে ফেসবুকে আদি রসাত্মক পোস্টও করছেন ।
এদিকে, মোল্লা বাড়িতে গেলে সংবাদমাধ্যমকে দেখা মাত্রই বাড়ির ভেতর থেকে গেট বন্ধ করে দেয় আজিজের পরিবারের লোকজন। গেটের সামনে থাকা গণি মোল্লার ভাইপো বলেন, রুবিনা এখনো ওই বাড়িতে আছে। কিন্তু কাউকে ঢোকা বা রুবিনার সাথে কথা বলা নিষেধ করে দিয়েছেন আব্দুল আজিজের বাবা গণি মোল্লা। সায়েদ আলী নামের এক স্থানীয় বলেন, মা কে আর চাচি কে? সবাই তো এক। এর বিচার হওয়া উচিত।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ছাপড়হাটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মহম্মদ আনছার আলী বলেন, ‘বুধবার বিষয়টি জেনেছি গণি মোল্লার কাছ থেকে। বিকেলে তার বাড়ি গিয়েছিলাম । তারা সম্পর্কে চাচি-ভাতিজা। মেয়েটি জানিয়েছে তাদের সম্পর্ক দুই-তিন বছর ধরে। শনিবার থেকে ওই মহিলা গণি মোল্লার বাড়িতে আছে। কিন্তু ভাতিজা তো পালিয়েছে। আর সেখানে আসার তিন দিনের মাথায় তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে।’ এই বিষয়ে জানতে চাইলে ছাপড়হাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী বলেন, বিষয়টি এখনো তিনি জানেন না এবং এখন পর্যন্ত কেউ তাকে অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতেও চাননি তিনি।।

