একথা রটেছিলো বহুআগে…
সেই বুদ্ধের সময় থেকেই নটী আম্রপালী
সে যুগ ছুঁয়ে আজও এ নামে সন্ধ্যা নামে
কৃষকের আঙিনায়।
এসো আম্রপালী তোমাকে চেনাই আজ
তোমাকে জেনেছি তো বহু আগে
চিনিয়েছে সে তোমারই সাজানো কৃষ্ণ প্রেমিক
নিস্তব্ধ আমার ঘরে সকলের সাথে কখন যে এত আলোর মাধুরী ছড়িয়ে পড়েছিলো
অন্ধ চোখে দেখাই হয়নি
আসলে অন্ধকার এত গাঢ় হয় এতকাল বুঝিনি
আজকাল আমি দেওয়ালে চন্দন গন্ধ ছড়িয়ে দিলেই
মৌমাছিরা চাক থেকে বেরিয়ে পড়ে
হুল ফোটাবার এ এক বিশাল আয়োজন
আম্রপালী তুমিও ওই ভিড়ের যাত্রী
যেমন করে গান গায় কৃষ্ণকলি
গান গায় অণু অণু কণা শ্রী
গান গায় আরো আরো ………. ঠিক তেমনই
ওরা জানেনা আম্রপালী, জানো না তুমিও
সিঁথিতে আঁচড় কাটলে লাল রং নয় রক্তের ধারা বয়।
এসো আম্রপালী কপাল মুছিয়ে দিই
যেখানে ছুঁয়েছে অক্ষর প্রেমিকের ঠোঁট
বিষ নামে বিষের ছোঁয়ায়
এ কথা রটেছে নগরে প্রান্তরে
এ তো বিম্বিসার নয় দায় নেবে
অজাতশত্রু খানিক বটে রূপ নয় নেশাগ্রস্ত প্রেমিক
কি নামে ডাকবে বলো
কি ভাবে ভাঙবে বলো রক্ত দিয়ে গড়া হৃদপিন্ড আমার
বুদ্ধ তরঙ্গ কি তবে আলোর পেছনে প্রেমের আঘ্রাণ
তবে সামনে এসো একসাথে সকলকে ভাগ করে দেব
একটি মৃত হৃদপিন্ডের প্রসাদের টুকরো।
পরম প্রেমিকের সাথে সকলে ভাগ করে নিও।।