স্বপ্নগুলো সাজিয়ে রেখেছি পরজনমের তরে
আবার আমি আসব ফিরে দামোদরের চরে।
শালবন, মহুয়া আর লাল পলাশের বনে,
যেখানে সেই কাঠবেড়ালি টা খেলে আপন মনে।
দেখব আমি এই দুনিয়ার সকল নদী, পাহাড়,
যা কিছু হলো না দেখা, রইলো বাকি এই প্রকৃতির বাহার।
শালতলী আর সোনাঝুড়ির রাঙা মাটির জীবন,
বসন্ত বাতাসে মাদলের সুরে আসে যেথায় ফাগুন।
দেখব আমি দু চোখ ভরে এই বাংলার রূপ,
ছয় ঋতুর সমাবেশে গ্রাম বাংলার স্বরূপ।
কত কিছুই রইলো পরে পেলাম না কো ছুটি
ধূলো মাটি মাখব গায়ে করব লুটোপুটি।
বুনো হাঁসের দলে মিশে , দেব আমি পারি
পাহাড়ের কোনো হ্রদে বানাবো বসত বাড়ি।
আকাশ আর সাগরের নীলৈর মাপবো গভীরতা ,
কবির ভাবনায় হতে চাই আমি নাটরের বনলতা।
সারেঙ্গার জঙ্গলে খেলব আমি তোর সাথে লুকোচুরি বলবি তুই, কোথায় লুকালি? কেমনে খুঁজে ফিরি?
পাইন বনে পথ চলব তোর হাত টি ধরে,
তিস্তা যেখানে রঙ্গিত কে ভালোবাসে আপন করে।
নাইবা হলো এ জনমে সকল কিছু পাওয়া,
পরের জন্মের অপেক্ষায়, আমার পথের চাওয়া।
স্বপ্নগুলো গুছিয়ে তাই, নেব আমি বিদায়
রাজার বাড়ির বাজলো ঘন্টা সন্ধ্যা নামে হায়।
বন্ধু তুই থাকবি তো পাশে, পর জনমের চাওয়ায়
বন্ধু তুই থাকবি তো , আমার সকল পাওয়ায়।।