এই বর্ষণক্লান্ত দিনেই
আমার মন খারাপের শুরু
এমনি এক বর্ষায় তুমি চলে গেলে আপন সুখে।
আজও কফি হাউসে আসি, জানালার কোণের টেবিলে বসি-
উঁকি দিই রাস্তায়,
পাঠক, ক্রেতার ভিড়ে, বইয়ের সারির ফাঁকে-
তোমার ত্রস্ত পায়ের প্রবেশ খুঁজি।
শীত, গ্রীষ্ম,বসন্ত আজ একাকার
দীর্ঘ অপেক্ষারা কথা বলে
সবুজ পাতার ডালে, ডালে,
পাখির বাসায় সঙ্গমের ডিম,এখন আমার শরীরে হিম,
কফির ধোঁয়া, ফুঁয়ে ফুঁয়ে ঠাণ্ডা হয় আমারই মতো……
বসন্ত কেবিনে মাঝে মাঝে তোমার ছায়া খুঁজি-
আজ কলেজস্ট্রিটের রাস্তার ছড়ানো বইয়ে
তোমার হাতের স্পর্শ পাইনা।
উনিভার্সিটির গেট ছুঁই,স্তব্দ হই, হৃদয়শূন্য করিডোর।
যেখানে আছো অচল ,সুখে আছো তো?
তোমার অমলিন হাসি,বাঁধনহারা উচ্ছাস,
পাগলপারা ভালোবাসায় জয় করেছ নিশ্চই
অন্য ভুবন?
তোমাবিনা আমার অসম্পূর্ণ কবিতার খাতা,
প্রতিরাতে কান্নাভরা দোয়াতে কলম চোবাই।
প্রতিরাতে তোমার ছবি প্রাণ পায়-
স্বপ্নের আলিঙ্গনে জাগে সুর,তুমি বহুদূর ….
পথে, ঘাটে, রাজপথে হাজার প্রেমিকার মাঝে তুমি রয়ে গেছো
শেষ প্রহরের ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফিরে-
তোমার বুক খুঁজি আশ্রয়ের আশায়
তুমি জানি আছো
আজও ভালোবাস আগের মতো।
পলিউশনের যত পোকা এখন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় আমার ক্ষতবিক্ষত বুক।
পোকার দখলে নিদাঘের দুই ফুসফুস।
কেমোতে মন ভরে না
থাকার সুখে জং ধরেছে
শেষ স্টেশনের টিকিট হাতে নিয়ে-
তোমার কাছেই ফেরার দুর্বার আকর্ষণ।
মিলনের যেন বাঁশি বাজে
মন লাগে না কোন কাজে।
শ্মশানের চিতা অধীরতায় বসে আছে দীর্ঘ অপেক্ষায়।
শুধু অনুরোধ স্বর্গের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থেকো
তোমারই হাতধরে চলবো অশরীয় পথে থাকব নিরন্তর।।