জমে থাকা অভিমান বিষন্নতার পাহাড় গড়ে …
বিরহী স্বরলিপি কবিতার অঙ্গনে বৃষ্টি নামায় অঝোর ঝরে….
তুমি না চাইলেও
দিবা-রাত্রির মিলন হবে
ঐ দেখো
সীমারেখার গণ্ডি ছাড়িয়ে চন্দ্রিমা উঁকি দেয় জীর্ণ কুটিরে ….
পরিত্যক্ত যে তোমার কাছে বস্তির ছেঁড়া নোংরা কাপড় পরিহিত সেই মেয়েটা
পরম স্নেহে তাকে জড়িয়ে ধরে সে হাসে!
গ্রীষ্মের পর বর্ষা নামে
একের পর এক ষড় ঋতু আসে
নিয়ম করে….
তুমিই পারো ব্যতিক্রমী হতে… !
চিতায় শুয়ে যে শব্দরা ইচ্ছামৃত্যু বরণ করে তার খবর কে রেখেছে?
তাদের অস্থি বিসর্জন হয় নিঃশব্দে
হৃদয়ের ফল্গু নদীতে হারিয়ে যায়
কত শত প্রতিশ্রুতির শব …..
মৃত্যু আসে বারবার !
ইচ্ছেদেরও মন খারাপের অসুখ হয়, অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে
তাদের বিলাপ কেউ শুনতে পায় না ….
মনখারাপের আঁধার ঘরে যে প্রদীপ শিখা আলো জ্বলায়
তার ঋণ শোধ হয় না কোনোকালে …
আলো ছায়ার অনিশ্চিত শ্বাসের ঘরে স্বপ্নেরা নিয়মিত পাশার ছক সাজে
কখনও জিত, কখনও হার
বিচিত্র সমীকরণ …
না পাওয়ার বেদনা তীব্র হয় কেন?
কেন প্রাপ্তি সুখ বিস্মৃত হয় মন?
কেন এমন হয়?
সুখের চাইতে দুঃখের বল বুঝি বেশি ?
কী পেলাম, কী দিলাম
এই হিসেব কষতে কষতে কেটে যায় বেলা!
মরীচিকার মরুভূমি
অবিরত শুধু মায়ার খেলা !!