শিউলি এখনো ঝরে কাক ডাকা ভোরে
যদিও শরৎ সেই কবে গেছে চলে
হেমন্তের হিমেল হাওয়ার গন্ধ বাস
অঘ্রাণের ধানের ঘ্রাণে মিশেছে আজ।
দূর্বা ঘাসে শিশির বিন্দু উজ্জ্বলতায়
হৈমন্তিকাকে সানন্দে স্বাগত জানায়।
আমনের খেতে সোনা রঙা শীষে
দোয়েল শিস দিয়ে যায় ফিরে
নবান্ন আসিছে দেখ সাজসাজ রব
মাঠে মাঠে ঘাটে পাটে গোছা গোছা
ধান কেটে লয়ে যায় চাষিদের দল।
সোনার ফসলের রঙ লাগে চোখে
গন্ধরাজ কামিনী মল্লিকার সনে
হরষে পুলকে মন মাঝে বেশ
তরঙ্গে তরঙ্গে আসে আনন্দের রেশ।
ঘুঘু ডাকা দুপুরে মনকে উজাড় করে
অপরূপ রূপ শোভা হেরিব যখন
প্রকৃতির মাধুরী করিবে মুগ্ধ
মনকাড়া তালে তুলিবে ছন্দ
পলক না ফেলিবে মোর মোহিত নয়ন।
জ্যোৎস্না ধোয়া রাত্রির প্রশান্তি
অগণিত তারা জ্বলে এক এক করে
ফুল ফুটে যেন শিশিরের জল মেখে
শান্তির ছোঁয়া দেয় মনের আকাশে।
দিনের শুরুতে হালকা শীতের আঁচ
কুয়াশা দিতেছে একটু পূর্বাভাস
সূর্যের প্রথম প্রভা পথ করে নিয়ে
ধীমি পায়ে প্রবেশিল অঙ্গনে প্রাঙ্গণে
এক গাল হাসি হাসে ধরিত্রী তখন
আমি শুধু চেয়ে দেখি মেলিয়া নয়ন।।