এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু-কাশ্মীর,০৮ ডিসেম্বর : জম্মু শহরে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জম্মু প্রশাসন ৪০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গার জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। তাদের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা যেসব জমিতে বসবাস করছে সেগুলো খালি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স সরকার এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ । ওমর আবদুল্লাহ সরকারের মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রোহিঙ্গারা জল পাবে । তিনি বলেছেন, মানবিক কারনে এটি করা হচ্ছে।
জম্মুতে অবৈধভাবে এসে বসতি স্থাপনকারী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে এই অভিযান। তাদের যাচাই-বাছাইও চলছে। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা রোহিঙ্গাদের বড় হুমকি মনে করে। জম্মুতে তাদের ৪০৯ টি ঘরে বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এসব পরিবার ১৪টি প্লটে বসবাস করত। এসব জমির মালিকদের যত দ্রুত সম্ভব এসব রোহিঙ্গাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করতে বলা হয়েছে। জম্মু পুলিশ ১৮ জন বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে এফআইআরও নথিভুক্ত করেছে যারা যাচাই-বাছাই ছাড়াই অনুপ্রবেশকারীদের ঘর ভাড়া দিচ্ছিল।
এসময় ৪ রোহিঙ্গাকে আটকও করেছে পুলিশ। এই কার্যক্রম আরও অব্যাহত থাকবে। এই পদক্ষেপ জম্মু ও কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লাহ সরকারের মন্ত্রী জাভেদ রানাকে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি বলেছেন, কারো কাছ থেকে জল ও বিদ্যুৎ কেড়ে নেওয়ার অধিকার নেই।
এ ব্যাপারে সরকার প্রশাসনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জন্য অব্যাহতভাবে জল সরবরাহ করা হবে। জাভেদ রানা জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের জলমন্ত্রী।
যদিও বিজেপি নেতারা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেছেন যে এই সমস্যাটি জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত এবং পদক্ষেপের দাবি রাখে। জম্মু শহরে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শহরটিতে ১৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বসবাস করছে।
তারা গত এক দশক ধরে এখানে বসবাস করছে এবং তাদের জনসংখ্যাও বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে কিছু রোহিঙ্গা জম্মু ছাড়িয়ে রাজৌরি, কাঠুয়া সহ সংবেদনশীল এলাকায় চলে গেছে। দুই শতাধিক রোহিঙ্গা কাঠুয়ার হোল্ডিং সেন্টারে আটকে আছে।জম্মুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে রোহিঙ্গাদের কাজ দেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে স্থানীয় শ্রমিকদের পরিবর্তে রোহিঙ্গাদের সাফাইয়ের কাজ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য তারা স্থানীয় শ্রমিকদের চেয়ে দ্বিগুণ মজুরি পাচ্ছে বলেও খবর ।।