এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১২ আগস্ট : দেশের বহু জায়গায় ভুয়ো আধার কার্ডসহ ধরা পড়ছে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী । এদিকে বাংলাদেশে হিন্দু নরসংহারের পর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে শুরু করেছে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন । দিল্লির মতিবাগে একটি মন্দিরের চারপাশে নির্মিত অনুপ্রবেশকারীদের বস্তি ধ্বংস করে এবং জয় শ্রী রাম স্লোগান দেয় হিন্দু সংগঠনের লোকজন । দিল্লিতে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ঝুপড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক অশ্বিনী শ্রীবাস্তব । এর আগে গাজিয়াবাদেও একই কাজ করেছিলেন পিঙ্কি চৌধুরী। যদিও স্থানীয় কিছু কথিত সেকুলার হিন্দুর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে পিংকি চৌধুরীকে ।
এদিকে জানা গেছে,নাভি মুম্বাই থেকে ৫ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রুরকি থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ওড়িশাতেও বাংলাদেশি সন্দেহে ৩৪ জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জাল পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে। রুরকি, হরিদ্বার থেকে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম রহিমুল, যিনি বাংলাদেশের হাকিমপুরের বাসিন্দা। প্রায় তিন মাস আগে পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিজাপুরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি । কয়েকদিন আগে পুলিশকে জানানো হয়, মিলিটারি এলাকা সংলগ্ন ধান্দেরা এলাকায় সন্দেহভাজন যুবককে দেখা গেছে। পুলিশ তাকে আটক করে হেফাজতে নিয়ে গেলে তাদের কাছে একটি জাল পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে ওই বাংলাদেশি । সে জানায়, প্রায় তিন মাস আগে একজন প্রকৌশলী তাকে চাকরি করে দেওয়ার কতা বলে সীমান্ত পার করিয়ে দিয়েছে । এরপর সে অন্য একটা অজুহাত দেয় । কিন্তু বারবার নিরাপত্তাকর্মীদের সে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে নিজস্ব পদ্ধতি প্রয়োগ করে পুলিশ । এরপর ওই বাংলাদেশি কবুল করে যে সে পশ্চিমবঙ্গের বিজাপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল । এর পর সে রুরকিতে আসে । রহিমুলকে কারা কারা সাহায্য করেছিল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের নাভি মুম্বাইয়ে অবৈধভাবে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার তারা কপারখৈরনই এলাকায় অবস্থিত একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে ৪ নারী ও ১ পুরুষকে আটক করে। দৈনিক জাগরণ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ বলেছে যে এই ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা জানতে পারে যে পাঁচজনই জাল নথির ভিত্তিতে ভারতে প্রবেশ করেছে। তিনি জানান, চার নারীর বয়স ৩৪ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। মহিলারা গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করে, আর ৩৮ বছর বয়স্ক পুরুষ গৃহ চিত্রকর হিসাবে কাজ করে।
পুলিশ জানিয়েছে যে আইপিসির ধারায় প্রতারণা এবং জালিয়াতির পাশাপাশি পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) বিধি-১৯৫০ এবং বিদেশী আইন ১৯৪৬ -এর অধীনে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পাশাপাশি একইভাবে, ওড়িশার সম্বলপুরে ৩৪ জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশি কিনা তা জানা না গেলেও তাদের কাছ থেকে জাল পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। পুলিশ তাদের ছেড়ে দিলেও তাদের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে । অতীতেও নগরীতে অবৈধ অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া গেছে, তাই বিষয়টির স্পর্শকাতরতার কথা মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। একটি টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে দুইজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, একজন ডিএসপি এবং সংশ্লিষ্ট থানার এসএইচও, সহকারী ও উপ-পরিদর্শক প্রমুখ রয়েছেন ।
পাশাপাশি দিল্লির বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ঝুপড়ি ভাঙার ভিডিও পোস্ট করে অশ্বিনী শ্রীবাস্তব টুইট করেছেন,’সতর্ক নাগরিকেরা দিল্লিতে একটি হিন্দু মন্দিরের কাছে ঝুপড়ি স্থাপনকারী অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ধ্বংস ও তাড়িয়ে দিচ্ছে৷ এই অনুপ্রবেশকারীরা প্রায়শই ভারতে গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত এবং সাধারণত মন্দির বা রেলপথের কাছে বসতি স্থাপন করে৷ সরকারের যে কাজটি করা উচিত তা এখন সাধারণ মানুষই করছে। এই বিষয়ে আপনাদের কি মতামত ?’