জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গলসি(পূর্ব বর্ধমান),১২ মে : ‘রাস্তা তুমি কার?’- প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে পথ হাঁটে অর্থাৎ পথিকের। তবে রাস্তায় শুধু পথিক চলাচল করেনা। অসংখ্য দু’চাকা, তিন চাকা বা চারচাকা গাড়িও চলাচল করে। লোকসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও অনিবার্য কারণে রাস্তার পরিমাণ বৃদ্ধি সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে খাদ্য সমস্যা সহ পরিবেশগত সমস্যা দেখা দেবে। তাই যেটুকু আছে সেইটুকু সঠিকভাবে ব্যবহার ও রক্ষা করার দায়িত্ব সবার।
কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে রাস্তার উপর যথেচ্ছাচার দেখা যাচ্ছে। ট্রাক্টারের সাহায্যে জলে ভেজা ক্ষেত জমি থেকে বোরো ধান তোলা হচ্ছে। ট্রাক্টারের চাকার সঙ্গে উঠে আসছে পিচ্ছিল এঁটেল কাদা। সেই কাদা পড়ে থাকছে রাস্তার উপর। অনেক সময় চাকার সঙ্গে লেগে থাকা কাদা ধোওয়া হচ্ছে রাস্তার উপর। সব মিলিয়ে রাস্তা বিপজ্জনক রূপ ধারণ করছে। কার্যত সেই রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করা, বিশেষ করে দু’চাকার গাড়ি নিয়ে, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে বা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। ধানের গোলা হিসাবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের যেসব জায়গায় বোরো চাষ করা হয়েছে তার সর্বত্র একই পরিস্থিতি।
কথা হচ্ছিল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ব বর্ধমানের গলসীর এক চাষীর সঙ্গে । তার বক্তব্য,’অকাল বৃষ্টির জন্য আলু চাষে আমরা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। উৎপাদন কম হয়েছে। কষ্ট করে বোরো চাষ করেছি। ফসল তোলার মুখে বৃষ্টি তো হচ্ছেই এবং সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। তাই অতিরিক্ত খরচ করে বৃষ্টি ভেজা জমি থেকে ট্রাক্টরের সাহায্যে ধান তুলে আনছি। বুঝতে পারছি রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু আমরা অসহায়।’
সাধারণ মানুষের বক্তব্য,বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক সময় চাষীদের কিছু করার থাকে না। অন্তত ট্রাক্টরের চাকার কাদা ধোওয়ার কাজটা যদি রাস্তার উপর বন্ধ করে তাহলে রাস্তার ক্ষতি কিছুটা কম হয়। তবে এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে সচেতন হতেই হবে। নাহলে কিন্তু বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে ।।