এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১৪ নভেম্বর : বেহাল অর্থনীতির কারনে দেশবাসী কার্যত দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতিতে পড়লেও ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থায়নে কোনো কসুর করছে না সন্ত্রাসবাদের জনক পাকিস্তান । সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএসের জালে ধরা পড়ে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ভোজপুর থানা এলাকার বাসিন্দা রিয়াজউদ্দিন এবং বিহারের পশ্চিম চম্পারণের শিকারপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ইজহারুল হুসেন নামে দুই সন্ত্রাসবাদী । তারা অর্থের বিনিময়ে পাকিস্তানকে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে তথ্য পাঠিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে এটিএস । পাশাপাশি ভারত সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত ছিল তারা ।
ইউপি এটিএস জানতে পারে যে রিয়াজউদ্দিন ও ইজহারুল হুসেনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল । রিয়াজউদ্দিন গাজিয়াবাদের ফরিদনগরের কানারা ব্যাঙ্ক শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে । এই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইজহারুলের মোবাইল নম্বরও যুক্ত রয়েছে । এটিএস জানতে পেরেছে যে ২০২২ সালের মার্চ থেকে ওই বছর এপ্রিল মাসের মধ্যে এই অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য কিছু অ্যাকাউন্টে ৬৫-৭০ লক্ষ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছিল। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য রিয়াজউদ্দিন ও ইজহারুল হোসেন বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠিয়েছিল । পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কিছু এজেন্টও এই কাজের সঙ্গে জড়িত বলে জানতে পেরেছে এটিএস । সংবাদ মাধ্যম ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী,ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলি সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানে পাঠাতে এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছিল । রিয়াজউদ্দিন, ইজহারুল এবং আরও কিছু আইএসআই এজেন্ট ভারত সরকারকে অস্থিতিশীল করে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করার চেষ্টা করছিল। এই সমস্ত অভিযুক্তরা পাকিস্তানে উপস্থিত তাদের হ্যান্ডলারদের সাথে কথা বলার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করত বলে জানতে পারে পুলিশের তদন্তকারী দল ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর ২০২৩ ) ইজহারুল হুসেন এবং রিয়াজউদ্দিনের বিরুদ্ধে ইউপি এটিএস একটি এফ আই আর নথিভুক্ত করেছে । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১২১-এ ধারার(দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো বা ষড়যন্ত্র করা) অধীনে মামলা রজু করা হয়েছে বলে জানা গেছে । দোষী সব্যস্ত হলে অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে । যদিও ওই দুই সন্ত্রাসী পলাতক,তাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ।।