এইদিন ওয়েবডেস্ক,হুগলি,০৪ আগস্ট : সেতুর দু’পাশে দুটি কাঠের উপর কোথাও পেরেক দিয়ে পোঁতা হয়েছে বাঁশের খন্ড ৷ কোথাও সাঁটানো রয়েছে কাঠের পাটা । কোথাও কোথাও আবার দেড় দু’ফুট করে ফাঁকও । হুগলি জেলার বলাগড় বিধানসভার অন্তর্গত বাকুলিয়া-ধোবাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইনছুড়া ও স্যাঙ্গারডাঙ্গা গ্রামের মাঝে কানা নদীর উপর এমনই বিপজ্জনক সেতুর উপর দিয়ে দিনের পর দিন পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা ৷ এদিকে আবার সেতুর দু’প্রান্তের পাড়ে ধস নেমেছে । গ্রামবাসীদের আশঙ্কা,সেতুটি যে কোনও সময় ভেঙে গিয়ে বড়সড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ।
ইনছুড়া ও স্যাঙ্গারডাঙ্গা পাশাপাশি দুই গ্রাম । ইনছুড়া গ্রামের বাসিন্দাদের চাষের জমি রয়েছে স্যাঙ্গারডাঙ্গা গ্রামে। পাশাপাশি স্যাঙ্গারডাঙ্গা গ্রামের ছেলে মেয়েরা ইনছুড়া গঙ্গাধরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে । এদিকে গ্রামের মাঝ বড়াবড় বয়ে গেছে কানা নদী । যাতায়তের জন্য রয়েছে একটি কাঠের সেতু । দুই গ্রামের বাসিন্দারা ওই সেতুর উপর দিয়েই যাতায়াত করলেও জমির ফসল ঘুর পথে আনতে হয় । ফলে পরিবহন খরচের জন্য চাষিদের লভ্যাংশ কমে যায় । এই বিষয়ে স্থানীয় কৃষক খোকন ঘোষ বলেন, ‘সেতু দিয়ে মাঠের ফসল আনা যায় না । তাই ৪ কিলোমিটার ঘুর পথ দিয়ে গাড়ি করে ফসল আনতে হয় । অনেক পরিবহন পড়ে যায় । ফলে চাষ করে আমরা লাভের মুখ দেখতে পাই না ।’
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন,বাপ-ঠাকুরদার আমলের সেতুটির বেহাল দশার কারনে পারাপার হতে গিয়ে ইতিপূর্বে অনেক মানুষ পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন । এছাড়া সেতুটি বহুবার ভেঙেছে । গ্রামবাসীরা নিজের উদ্যোগে বাঁশ,কাঠ দিয়ে মেরামত করেছেন । তাঁদের অভিযোগ, ওই জায়গায় কংক্রিটের সেতু নির্মানের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন জানানো হয়েছিল । কিন্তু কোনও কাজ হয়নি । এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা ।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্যা নিবেদিতা মন্ডল বলেন ‘কানা নদীর উপর ওই সেতুর বিষয়ে প্রশাসনকে অনেকবার জানানো হয়েছে । আশা করছি খুব দ্রুত কংক্রিট সেতু নির্মানের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে যাবে ।’।