প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২২ মে : তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন অবসরপ্রাপ্ত এক বিডিও। ধৃতের নাম সুধন্য দে।কর্মরত অবস্থায় তিনি অরুনাচলের বিডিও ছিলেন । তাঁর বাড়ি হুগলির জেলার হরিপাল থানার বাহিরখণ্ড গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় ।বর্ধমান থানার পুলিশ শনিবার রাতে হুগলির শ্রীরামপুর থানার প্রভাসনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ।রবিবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে । তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃত অবসরপ্রাপ্ত বিডিওকে ১০ দিন পুলিশি হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন ।
পুলিশ জানিয়েছে,বর্ধমান শহরের পারবীরহাটা এলাকায় গত রবিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়,নিমাই দাস ও পার্থ পাল নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ৯৪৩ গ্রাম ওজনের একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ উদ্ধার হয়। সেটি একজনকে ৫০ লক্ষ টাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে তারা বর্ধমানে নিয়ে এসেছিল।আগেভাগে খবর পেয়ে এসটিএফ সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে ধরে ফেলে ।তবে ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বস্তুটি প্রকৃতই তেজস্ক্রিয় পদার্থ কিনা তা নিশ্চিৎ হওয়ার জন্যে পুলিশ সেটিকে কলকাতার ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টারে পরীক্ষায় পাঠায়।
এরই মধ্যে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ শ্রীরামপুরের বাসিন্দা শিউজি পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তির এই চক্রে জড়িত থাকার কথা জানতে পারে । পুলিশ তাঁকেও গ্রেপ্তার করে । শিউজি কে পুলিশ জানতে পারে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিক্রীর নামে প্রতারণা চক্রে মূল পাণ্ডা অবসরপ্রাপ্ত বিডিও সুধন্য দে। তিনি শিউজির ছেলের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার প্রভাসনগরে যাচ্ছেন বলে বলে পুলিশ জানতে পারে । সেখানে পৌছে গিয়ে পুলিশ সুধন্য দে কে পাকড়াও করে।ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে কলকাতার রাজারহাটের এক ব্যক্তি তাঁকে ওই তেজস্ক্রিয় পদার্থটি বিক্রির জন্য দিয়েছিল ।রাজারহাটের ওই ব্যক্তি প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী কেনাবেচার সঙ্গেও জড়িত বলে পুলিশ জেনেছে ।এমনকি দীর্ঘদিন ধরে এইসবের ব্যবসায় জড়িত ওই ব্যক্তির কাছে আরও অনেক নকল প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী রয়েছে বলেও পুলিশ খবর পেয়েছে ।।