দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া,০২ জানুয়ারী : হঠাৎ করে দেশ জুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা । ব্যক্তিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও । প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের গ্রাফ । সেই কারনে এদিন রবিবার থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ এবং শিথিলকরণের গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য সরকার । এদিকে সরকারিভাবে বিধিনিষেধ জারি হতেই মাস্কবিহীনদের ধরপাকড় অভিযান শুরু করল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পুলিশ । এদিন কাটোয়া শহর এলাকার ২২ জন মাস্কবিহীন পথচারীকে আটক করা হয় । যদিও তাদের ভর্ৎসনা করে ছেড়ে দেয় পুলিশ । ইতিমধ্যেই কাটোয়া শহর এলাকায় ব্যাবসায়ীদের থানায় ডেকে বেশ কিছু বিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । তার মধ্যে মাস্ক বিহীন খরিদ্দারদের যাতে কোনওভাবেই মালপত্র বিক্রি না করা হয়, সেই বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে ব্যাবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ।
এদিকে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৫-এর আওতায় জারি করা বিধিনিষেধ এবং শিথিলকরণ ব্যবস্থাকে আগামী ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । এই সময়ের মধ্যে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে । ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য কেবল মাত্র ৫০ শতাংশ কর্মচারীর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে । বন্ধ থাকবে সুইমিং পুল,স্পা,জিম, বিউটি পার্লার, সেলুন, বিনোদন পার্ক, চিড়িয়াখানা,পর্যটন স্থান । শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্সে, রেস্তোরাঁ, বার, সিনেমা হল এবং থিয়েটার হলগুলি রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত খোলার অনুমতি থাকবে । তবে ধারন ক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি ভিড় করা যাবে না । সমস্ত বেসরকারী অফিস এবং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মচারীদের নিয়ে কাজ করতে হবে । যতদূর সম্ভব ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর মাধ্যমে কাজকর্ম চালাতে উৎসাহিত করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
আউটডোর সভার ক্ষেত্রে এক সময়ে সর্বাধিক ২০০ জনের সাথে সভা এবং সম্মেলন অনুমোদিত হবে । সভা ইনডোর হলে মোট আসনের ৫০% শতাংশ ও ২০০-র মধ্যে যেটি কম হবে সেটি গ্রাহ্য হবে । কোন সামাজিক, ধর্মীয়,সাংস্কৃতিক,বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য একসাথে ৫০ জনের বেশি ব্যক্তিকে অনুমতি দেওয়া হবে না । অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ২০ জনের বেশি ব্যক্তিকে অনুমতি দেওয়া হবে না ।
এছাড়া লোকাল ট্রেনগুলি ৫০ শতাংশ আসন ক্ষমতার সাথে কেবল সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত চলবে । অত্যাবশ্যকীয় এবং জরুরী পরিষেবা ছাড়া বাকি যানবাহন চলাচল এবং যে কোনও রকম জনসমাবেশের উপর রাত্রি ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । এদিন থেকে শুরু হওয়া ‘দূয়ারে সরকার’ শিবিরগুলি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে । পরিবর্তে পয়লা ফেব্রুয়ারী থেকে এই শিবির শুরু হবে বলে সরকারি নির্দেশে জানানো হয়েছে ।।