এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৬ ফেব্রুয়ারী : রবিবার রাতের অন্ধকারে হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকার ৩ টি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে । তার মধ্যে বাকড়া রেলগেট থেকে শরৎপল্লী পর্যন্ত তিনটি মন্দির রয়েছে । আজ সোমবার সকালে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা নজরে পড়তে ক্ষিপ্ত হিন্দুরা টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে । করা হয় রেললাইন অবরোধও । দফায় দফায় অবরোধের যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা । ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় ডোমজুড় থানার
পুলিশের একাধিক দল । পুলিশকেও পড়তে হয় বিক্ষোভের মুখে । এদিকে একসঙ্গে এতগুলো মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি বারবার মন্দিরে হামলার ঘটনায় পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,’গতরাতে হাওড়ার বাঁকড়ায় ৫ টি সনাতানি মন্দির ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা । প্রতিবাদে রেললাইন আটকে দিচ্ছেন স্থানীয়রা। আমি হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার শ্রী প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী (আইপিএস) এবং ডিজিপি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে কে অনুরোধ করছি যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে । এছাড়াও অনুগ্রহ করে এলাকায় স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নিন এবং আন্দোলনকারীদের গণপরিবহন বন্ধ না করে তাদের ন্যায্য প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে রাজি করুন ।’ সেই সাথে তিনি লিখেছেন,’সনাতনী মন্দির ভাঙচুরের সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ক্রমাগত অনিচ্ছা তাদেরকে বারবার সনাতনী সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করতে উৎসাহিত করেছে।’
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের ইনচার্জ সৌরিশ মুখার্জী ও চুরির ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
থ্রি এক্স হ্যান্ডেলে অবরোধের ছবি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘হাওড়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ ! হাওড়ার ৩ নম্বর পঞ্চায়েতের বাঁকড়ায় কিছু লোক গতকাল রাতে হনুমানজি মন্দির ভাঙচুর করে, সেখানে প্রস্রাব করে এবং মলত্যাগ করে…। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাস্তা অবরোধকারী হিন্দুরা – লোকেরা রাস্তায় নেমে পুলিশ সদস্যের সাথে কথা বলে। স্থানীয়দের দাবির ভিত্তিতে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত । হাওড়ার বাঁকড়া হল একটি রোহিঙ্গা-বসতি এলাকা। গত কয়েক বছরে বাঁকড়া বারবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে চ্যালেঞ্জ করেছে ।’।