এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরপ্রদেশ,১৮ সেপ্টেম্বর : উত্তরপ্রদেশের বারাবাঙ্কি জেলার ফতেহপুর কোতোয়ালি এলাকায় ১৫ বছর বয়সী হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মোহাম্মদ আফতাব নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে । অপর অভিযুক্ত মহম্মদ সগীর পলাতক। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে । জানা গেছে, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রী যখন কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল তখন অভিযুক্ত আফতাব তার পথ আটকে তাকে ফুসলিয়ে বন্ধু সগীরের বাড়িতে নিয়ে যায়। এই বাড়িটি ছিল নির্জন এলাকায়, যেখানে আফতাব বাড়ির বাইরে থেকে তালা দিয়ে মেয়েটিকে ভিতরে আটকে রাখে। এরপর নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভেতর থেকে চিৎকার শুনতে পান। এতে লোকজন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে মুক্ত করে। তারা ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত আফতাবকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আফতাবকে আটক করে।
এদিকে পুলিশ আসার আগেই আফতাবের সঙ্গী মহম্মদ সগীর চম্পট দেয় । পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করে নির্যাতিতার বক্তব্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোতোয়ালির পরিদর্শক ডি কে সিং বলেছেন যে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আফতাবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (বিএনএস) প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নির্যাতিতার বাবা জানান, তার মেয়ে প্রতিদিনের মতো কোচিংয়ে যাচ্ছিল, এমন সময় অভিযুক্ত আফতাব তাকে ফুসলিয়ে তার বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল। পাশাপাশি পলাতক আসামি সগীরের খোঁজে পুলিশের টিম অভিযান চালাচ্ছে। এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এলাকাবাসী দ্রুত বিচার দাবি করছেন। পুলিশ আশ্বস্ত করেছে যে পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে এবং বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করা হবে।।