এইদিন ওয়েবডেস্ক,কক্সবাজার,৩১ জুলাই : বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ থানার হ্নীলা ইউনিয়নে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার ৮ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার সহ পরিচালক মুফতি আলী আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান । ধর্ষণের পর শিশুটির গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে তাকে খুন করে পাশের সরু গলিতে নিকাশি নালায় লাশ ফেলে দেয় অভিযুক্ত । পরে অপহরণের গল্প ফাঁদে সে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (র্যাব)-১৫ ব্যাটেলিয়নের হাতে ধরা পড়ে যায় ধর্ষক মোহাম্মদ ইরফান ।
এদিকে এই ঘটনার পর ফেসবুকে একটা ভিডিও শেয়ার করে সাফাই দিয়েছে ধর্ষক মোহাম্মদ ইরফানের বাবা মুফতি আলী আহম্মদ । তিনি ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন,’এই ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত । তবে যা হয়েছে আল্লাহর হুকুমে হয়েছে, আল্লাহর হুকুম ছাড়া তো কোন কাজ হয় না ।’ ধর্ষকের বাবার এহেন সাফাইয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় ।
গত শুক্রবার (২৮ জুলাই ২০২৩) রাতে সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাব -১৫ জানায়, ধৃতকে জেরায় জানা গেছে যে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই ২০২৩) আসামী মোহাম্মদ ইরফান ছাত্রীকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসায় নিয়ে গিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে । এরপর ছাত্রীর গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে দায় থেকে বাঁচতে শিশুটিকে শ্বাসরোধ হত্যা করে লাশ গুম করে অপহরণের নাটক সাজায় । অপহরণের ঘটনাকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য ছাত্রীর মাকে একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চায় ৷ শিশুটির মৃতদেহের ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমান মিলেছে বলে জানিয়েছে র্যাব ।
এদিকে ছেলে গ্রেফতার হওয়ার পর সাফাই দিতে ফেসবুকের দ্বারস্থ হন ধর্ষক মোহাম্মদ ইরফানের বাবা মুফতি আলী আহম্মদ ৷ ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে ছেলের এই অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করেন । কিন্তু তার বিতর্কিত মন্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় ।।