এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২০ জানুয়ারী : আরজি করের তরুনী চিকিৎসক ‘অভয়া’র ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষী সব্যস্ত হয়েছে কলকাতার টালা থানার সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় । আজ সোমবার(২০ ডিসেম্বর) সাজা ঘোষণা হবে শিয়ালদা আদালতে । প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে সকাল ১০:৪০ নাগাদ প্রিজন ভ্যানে করে শিয়ালদহ আদালতে আনা হয়েছে সঞ্জয়কে । তার আগে নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা আদালত চত্বর । শিয়ালদা আদালতের আশেপাশের এলাকায় এএসআই পদমর্যতার ৩৯ আধিকারিকরা, ২৯৯ জন কনস্টেবল রয়েছে, এবং মহিলা পুলিশ মিলে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৫০০ পুলিশকর্মী । দায়িত্বে রয়েছেন দুজন ডিসি পদমর্যাদা আধিকারিকরা ও ৫ অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ।
আরজি কর ধর্ষণ-খুন মামলায় সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) ধারা, ৬৬ ধারা (ধর্ষণের এমন আঘাত করা, যে কারণে মৃত্যু হতে পারে) এবং ১০৩ (১) ধারায় (খুন) দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে । সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড । যদিও সঞ্জয় একাধিকবার দাবি করে, সে নির্দোষ এবং এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত । এনিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মৃতা ‘অভয়া’র মা-বাবা ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ‘অভয়া’র ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দু’পা ধরে চিড়ে দেওয়ার চেষ্টা এবং শরীরের একাধিক ক্ষতচিহ্ন থাকার কথা শুনে সাধারণ মানুষ প্রথম থেকেই এই ঘটনায় একাধিক জনের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছিল৷ যদিও দেহ উদ্ধারের প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে । শিয়ালদা কোর্টে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। যদিও সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও একরাশ প্রশ্ন উঠছে । প্রশ্ন উঠেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ,টালা থানার ওসি এবং তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও ।।