এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুর্শিদাবাদ,২৯ অক্টোবর : একটা বা দুটো নয়,চার চারটে বিয়ে করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের চস্কাপুর গ্রামের রাণা রুবেল । কিন্তু তার প্রেমিক মন তাতেও তৃপ্ত হয়নি । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার মহেশপুরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা সাকিলা খাতুনকে সে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ফেলে । তরুনী নিকাহ করার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে রুবেল । রবিবার পরিবারের লোকজন ও দু’একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবকে সাথে নিয়ে প্রেমিকার বাড়িও চলে যায় সে । রাতে সাকিলার বাড়ি তখন গমগম করছে । বাকি শুধু নিকাহেত ” ইজাব বা প্রস্তাব” করানো । ঠিক সেই সময় এক “প্যায়ার কি দুশমন” ব্যক্তি রাণা রুবেলের মুখ দেখে চিনতে পেরে যায় । তার মাধ্যমেই কানাঘুষো শুরু হয় যে এর আগে রুবেলের নাকি চারবার নিকাহ হয়ে গেছে । মুহুর্তের মধ্যে আনন্দের সানাইয়ের সুর বিষাদে পরিনত হয় । এদিকে বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় বরবেশী রাণা রুবেল৷ তবে ধরা পড়ে যায় ভাই এবং এক বরযাত্রী । পুলিশ পরের দিন তাদের আদালতে তুললে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় । তবে এখনো বেপাত্তা ‘গুণধর’ রাণা রুবেল । পুলিশ তাকে খুঁজছে । সাকিলা খাতুন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন,’ফেসবুকে রাণা রুবেলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় । ওর কণ্ঠস্বর শুনে এবং অমায়িক কথাবার্তায় আমি প্রেমে পরে যাই । কিন্তু ঘুনাক্ষরেও রানা প্রকাশ করেনি যে ওর আগে বিয়ে হয়েছে । ও আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে । ওর কঠিন শাস্তি চাই ।’
জানা যায়, ভালোবাসার কথা প্রথমে পরিবারের লোকজনদের জানান সাকিলা খাতুন। তারপর কয়েকদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে খুব ফোনালাপ চলে । রাণা রুবেলের দাবি মতো ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর দিতে রাজি হয়ে যায় সাকিলার বাবা । বিয়ের আগে ৩৫ হাজার টাকা দেওয়াও হয়ে যায় ৷ কিন্তু বিয়ের ইজাব বা প্রস্তাব করাই হল না সাকিলার পরিবারের তরফ থেকে। তার আগেই বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় বর ।।