এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ মার্চ : মুঘল হানাদাররা ধ্বংসের পর দীর্ঘ পাঁচ শতাব্দী প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অযোদ্ধায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে । প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার । গত ২২ জানুয়ারী রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন ভারতসহ গোটা বিশ্বের হিন্দুদের মধ্যে লক্ষ্য করা গিয়েছিল চরম উন্মাদনা । অনেকে আনন্দে কেঁদেও ফেলেছিলেন । কিন্তু হুগলি জেলার তারকেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রামেন্দু সিনহা রায়ের নজরে অযোদ্ধার রামমন্দির ‘অপবিত্র’ । শুধু তাইই নয়, তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানান সে কোনো হিন্দু যেন ওই রামমন্দিরে পূজো দিতে না যান ।
সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিনহা রায়ের ওই বক্তব্যের ভিডিওটি শেয়ার করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে তিনি ওই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন । শুভেন্দু ভিডিও শেয়ারের পাশাপাশি লিখেছেন, ‘এটাই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের আসল প্রকৃতি। হিন্দুদের আক্রমণ করতে করতে তাদের দুঃসাহস এতটাই বেড়ে গেছে যে এখন তারা ভগবান শ্রী রামের পূণ্যময় মন্দির যা হিন্দুদের পবিত্র পীঠস্থান, সেই মন্দির কে ‘অপবিত্র’ আখ্যা দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। তারকেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক – রামেন্দু সিনহা রায়, যিনি আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতিও, তিনি বলছেন কি না রাম মন্দির অপবিত্র। তিনি আরও বলেছেন যে কোনও ভারতীয় হিন্দুরই এমন অপবিত্র স্থানে পূজা দিতে যাওয়া উচিত নয়।’ পরিশেষে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন,’আমি শুধুমাত্র ওনার এই অবমাননাকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেই বিরত থাকছি না, বরং এমন ঘৃণ্য বিবৃতি দিয়ে সারা বিশ্বের হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ভিডিওতে তারকেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রামেন্দু সিনহা রায়কে প্রকাশ্য জনসভায় বলতে শোনা গেছে,’ওই যে রাম মন্দির তৈরি হয়েছে আমি মনে করি অপবিত্র ওই রাম মন্দিরেতে ভারতবর্ষের কোন হিন্দু যেন পূজা দিতে না যায় । ওটা শুধু একটা শোপিস তৈরি হয়েছে ।’ তবে ঠিক কবে ওই জনসভা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয় । প্রসঙ্গত,লোকসভা নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসছেন তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীরা । পয়লা মার্চ শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা শহরের বারোয়ারি তলায় দলীয় জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপিকে রুখতে “ঝাঁটা-জুতো- লাঠি” হাতে তুলে নেয়ার নিদান দিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত । তার আগে ভোটের দিন বিরোধীরা ঘর থেকে বের হলে ‘হাতকেটে’ নেওয়ার ‘গুরুমন্ত্র’ দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জটিলেশ্বর মন্ডল(Jatileswar Mondal) ওরফে জটিল মণ্ডল ।।