এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজগঞ্জ,০৫ নভেম্বর : গত ২৮শে অক্টোবর নিউটাউনের যাত্রাগাছিতে সোনারূপার ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা ঘটে । ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ । এই খুনের ঘটনার সঙ্গে নাম জড়াল জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের । গত ৩১ অক্টোবর কলকাতা বিধাননগর দক্ষিণ থানায় দায়ের করা ওই এফআইআর-এ সরকারি বিডিওকে দায়ি করা হয়েছে এবং তার নীলবাতি লাগানো গাড়িটি খুনে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেছেন, ‘অভিযোগ করলেই হল ?’
জানা গেছে,দত্তাবাদে সোনার দোকান রয়েছে মৃত স্বপন কামিল্যার । গত ২৮ অক্টোবর দুটি গাড়ি এসে তাকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ । পরে নিউ টাউনের যাত্রাগাছিতে একটা ঝোপের মধ্যে তার রক্তান্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় । ঘটনার তিন দিনের মাথায় এফআইআর দায়ের করে মৃতের শ্যালক দেবাশীষ কামিল্যা৷ অভিযোগপত্রে তিনি জানান,১১৫ দত্তাবাদে ফ্রেন্ডস ক্লাবের কাছে আমার বোনের বরের একটি ভাড়ার দোকান আছে৷ দোকানের নাম “বাসন্তী জুয়েলার্স” । পেশায় স্বর্ণকার আমার বোন দীর্ঘদিন কলকাতাতে থেকে কাজ করত । তিন চারদিন আগে দোকান মালিক গোবিন্দ বাগ আমার বোনের বরকে ফোন করে বলেন যে বিডিও প্রশান্ত বর্মন আমার বোনের খোঁজে এসে বলে যে তার বাড়িতে চুরি যাওয়া সোনার গহনা নাকি আমার বোনের স্বামী কিনেছে৷ দোকান মালিক আমার বোনের বরকে কলকাতা আসতে বলে । এরপর ২৮.১০.২০২৫ তারিখে আমার বাবা অমূল্য কামিল্যা এবং একজন প্রতিবেশীকে নিয়ে তিনি কলকাতায় যান । কিন্তু পরের দিন সকালে বাকি দু’দুজন বাড়ি ফিরলে আমার বোনের বর বাড়ি ফেরেনি ।
তিনি লিখেছেন, বাবাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যে তারা যাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে দুটি গাড়ি আসে । তার মধ্যে একটি সাদা রঙের গাড়ি এবং অন্যটি নীল বাতি লাগানো কালো রঙের গাড়ি । মোট ৫-৬ জন লোক ছিল । তাদের মধ্যে একজন নিজেকে বিডিও প্রশান্ত বর্মণ বলে পরিচয় দেয় । সেই গাড়িতে করে স্বপন কামিল্যাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে নিউ টাউনের যাত্রাগাছিতে একটি ঝোপের মধ্যে তার রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার ।
এদিকে খোদ একজন বিডিওর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গেছে৷ বিডিও প্রশান্ত বর্মণ এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে চাননি। অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি চরম ক্ষিপ্ত হন। তার কথায়, তাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত হয়েছে।।

