এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজস্থান,৩১ আগস্ট : রাজস্থানে ফের খুন হলেন এক সন্ন্যাসী । এবারে রাজস্থানের টঙ্কে এক মন্দিরের মহন্তকে মাথা থেঁতলে খুন করে পালিয়েছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা । মহন্তের নাম সিয়ারাম দাস বাবা ভুরিয়া(৯৩) । তিনি মালপুরা জেলার দিগ্গীতে বাবা ভূরিয়া মহাদেব মন্দিরের মহন্ত ছিলেন । বুধবার সকালে স্থানীয় হিন্দুরা মন্দিরে পূজার্চনা করতে গিয়ে বাবার রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন । পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ । পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । আশপাশের এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ । তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ ঘাতকদের কোনো হদিশ করতে পারেনি ।
এই ঘটনার কয়েকদিন আগে নবগঠিত দিদওয়ানা কুচামান জেলায় একজন সাধুকেও হত্যা করা হয়েছিল । হরিরাম বাবার বাগানের সাধু মোহনদাসকে কুচমন থানা এলাকায় অবস্থিত রসাল গ্রামে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় । তাঁর হাত-পা বেঁধে এবং চোখ বেঁধে দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় । এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ।
জোধপুরের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জলশক্তি উন্নয়ন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শাখাওয়াত সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’-এ সিয়ারাম দাস বাবা ভুরিয়ার নিথর দেহের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,’এটা খুবই দুঃখজনক যে টঙ্ক অঞ্চলের বিখ্যাত মহন্ত সাধু সিয়ারাম দাস বাবা জিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। রাজস্থানে অপরাধীদের নিশানায় সাধু-ঋষিরা কেন? এমনটা দেশের আর কোথাও দেখা যায়নি। সন্ত সমাজকে অবজ্ঞা করা গেহলট সরকারের তুষ্টিকরন নীতির অংশ। তার ভোটব্যাঙ্ক বজায় রাখতে কংগ্রেস অসামাজিক উপাদানকে উৎসাহিত করে যারা সাধু সন্নাসীদের হয়রানি করে । এটি এমন একটি পাপ যার শাস্তি অনিবার্য, যা সনাতন ধর্মকে আঘাতকারী অধার্মিকদের শীঘ্রই ভোগ করতে হবে ।’
বলা হচ্ছে যে অপরাধীরা যখন এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তখন মন্দিরে একাই ছিলেন মহন্ত সিয়ারাম দাস। সিয়ারাম করৌলি জেলার নাদৌতির বাসিন্দা ছিলেন তিনি । তিনি প্রায় ৫০ বছর ধরে মন্দিরে একাই বসবাস করতেন । তিনি আশ্রমে নিজের খাবার নিজে রান্না করতেন এবং পূজা করতেন। তাঁকে হত্যার ঘটনায় সাধু সমাজে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । এদিকে এই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বাজার বন্ধ রেখেছেন এলাকার বাসিন্দারা ।।