এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাটনা,১৬ নভেম্বর : বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি-নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শোচনীয় পরাজয়ের পর এনডিএ বিরোধী জোটের কিছুই ভালো যাচ্ছে না । লজ্জাজনক পরাজয় হজম করতে না পেরে ফের “ভোট চুরি” ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করে কংগ্রেস ও আরজেডি৷ কিন্তু সাধারণ মানুষই তাদের যোগ্য জবাব দিতে শুরু করলে তারা আপাতত চুপ হয়ে আছে৷ এদিকে বিহারের পরাজয় এনডিএ জোটের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে । মহারাষ্ট্র থেকে জোট ভাঙার ইঙ্গিত মিলছে ৷ মহারাষ্ট্রে “মহা গটবন্ধন” ভেঙে একাই লড়বে বলে ঠিক করেছে কংগ্রেসে । অন্যদিকে বিহারের লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারে অভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দিয়েছে।লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রোহিণী আচার্য দলের লজ্জাজনক পরাজয়ের জন্য তার ভাই তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সঞ্জয় যাদব এবং রমিজকে দায়ী করেছেন। রোহিণী দল এবং পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘোষণাও করেছেন।
শনিবার(১৫ নভেম্বর) ভাই তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সঞ্জয় যাদব এবং রমিজের নাম উল্লেখ করে রোহিণী আচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজেডি ত্যাগ এবং লালু পরিবার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পোস্ট করেছিলেন । রোহিণীর বিদ্রোহের কারণে, অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী সময়ে লালু পরিবারে একটি বড়সড় ঝড় আসতে চলেছে । আরজেডিকে যারা খুব কাছ থেকে চেনেন তারা গত দেড় বছরে বারবার সঞ্জয় যাদবের নাম শুনেছেন, যিনি মূলত হরিয়ানার বাসিন্দা কিন্তু তেজস্বী যাদবের খুব কাছের বলে মনে করা হয়। তিনি রাজ্যসভার সাংসদও। রোহিণী আচার্যের পোস্টের পর মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে যে সঞ্জয় যাদব ছাড়াও রমিজ কে, যার উপর লালুর মেয়ে এত রেগে গেছেন।
আরজেডিতে তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং পরিবারের একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব রমিজের কথা বলতে গেলে, তিনি উত্তর প্রদেশের নেপাল সীমান্তবর্তী জেলা বলরামপুরের বাসিন্দা। বলরামপুরের ভাঙ্গা কালা এলাকার বাসিন্দা রমিজ বর্তমানে বিহারে থাকেন। বিশেষ বিষয় হল তিনি প্রাক্তন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রিজওয়ান জহিরের জামাতা। রমিজের পুরো নাম রমিজ নেমাত খান এবং তার বাবার নাম নিয়ামতুল্লাহ খান। ৪ জানুয়ারী, ২০২২ সালে বলরামপুরের তুলসীপুর নগর পঞ্চায়েতের সভাপতি ফিরোজ পাপ্পুকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত রমিজ। তিনি রিজওয়ান জহিরের মেয়ে জেবা রিজওয়ানের সাথে বিবাহিত এবং বর্তমানে পাটনায় থাকেন এবং তেজস্বী যাদবের সাথে তার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।।
Author : Eidin.

