জয়দীপ মৈত্র,দক্ষিন দিনাজপুর,২৯ জুন : গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস । সেই পূর্বাভাষ সত্যি প্রমানিত করে টানা বৃষ্টিপাত চলছে উত্তরবঙ্গে । ফলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন । রবিবার রাত থেকে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা জুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে । মঙ্গলবার রাতভর চলেছে দফায় দফায় বৃষ্টিপাত । ফলে রাস্তায় রাস্তায় জল জমে গেছে । কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে হাঁটা দায় হয়ে পড়েছে পথচারীদের । তাই পারতপক্ষে কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না । ব্যাহত যানচলাচল ।
বুধবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীবাহী বাসগুলি । যাত্রী কম থাকায় টোটো অটো ও বাস মালিকরা প্রমাদ গুনছেন । পাশাপাশি এদিন বিভিন্ন দোকান দোকানপাটও বন্ধ ছিল । সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারি চাকুরিজীবীদের । কারন বাস কম । তাই বাসের জন্য হপিত্যেশ করে তাদের বসে থাকতে হচ্ছে । যে দু’একটা বাস চলছে তা ভিড়ে ঠাসা ।
গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা সরকারিকর্মী নারায়ন সরকার বলেন,’গত দুদিন থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়াতে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিললেছে । কিন্তু টানা বৃষ্টিপাতের জন্য আমাদের অফিস যেতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে । কারন বাস কম । বাদুড়ঝোলা করে আমাদের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে ।’
এদিকে জমিতে জল জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে গেছেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কৃষকরা । যারা শাকশব্জির চাষ করেছে তারা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ব্যস্ততম শহর বলে পরিচিত গঙ্গারামপুরে বুধবার সকালে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র । বন্ধ দোকানপাট । সুনসান রাস্তাঘাট । আর মাঝে মাঝেই নামছে ঝেঁপে বৃষ্টি ।গঙ্গারামপুর পুরসভার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌর এলাকায় ড্রেনগুলি নিয়মিত সংস্কার না হওয়ায় ঠিকমত জল নিকাশ হচ্ছে না । ড্রেনের নোংরা জল রাস্তায় উঠে আসছে । যে কারনে চলাচল করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে পুরবাসীদের । বাড়ছে মশা,মাছির উপদ্রব । পাশাপাশি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া গ্রামের রাস্তা গুলো বেহাল হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তুলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গ্রামীন এলাকার বাসিন্দারা ।
তবে জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও সুরাপ্রেমীদের উপর কোনো প্রভাব পড়েনি । বরঞ্চ ঠান্ডা আবহাওয়া তাঁরা মজেছেন সুরার নেশায় । এদিন সকাল থেকেই গঙ্গারামপুর শহরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সুরার দোকান গুলিতে চোখে পড়ার মত ভিড় লক্ষ্য করা যায় ।।