প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৬ আগষ্ট : খেলা হবে দিবসেও রক্ত ঝরলো এক তৃণমূল নেতার । গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুরুতর জখম হওয়া পূর্ব বর্ধমানের রায়নার ওই তৃণমূল নেতার নাম গোলাম মোস্তাফা মল্লিক ।তিনি রায়নার হিজলনা অঞ্চলের বাসিন্দা । রায়না ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বামদেব মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ । মঙ্গলবার রাতে বামদেবের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন গোলাম মোস্তাফা কে নির্মম ভাবে পিটিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ।চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । উত্তেজনা থাকায় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ-বাহিনী। শুরু হয়েছে ধরপাকড় ।
ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বামদেব মণ্ডল এদিন বলেন ,তাঁর অনুগত গোলাম মোস্তাফা মল্লিক বহু দুর্দিনের তৃণমূল কর্মী। বর্ধমানের দলীয় কার্যালয় হয়ে এদিন রাতে বাইকে চেপে গোলাম মোস্তফা বাড়ি ফিরছিলেন।হিজলনা অঞ্চলের জোতসাদি আর বেলসরের মাঝে একটি জায়গায় কিছু সশস্ত্র দুস্কৃতী তাকে ধরে বেপরোয়া ভাবে মারধর করে।যাঁরা গোলাম মোস্তফার উপর আক্রমণ চালিয়েছে তাঁরা
নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় দাবি করে। তবে দলের দুর্দিনে তাঁদের কোন অংশগ্রহ ছিল না।বামদেব মণ্ডল বলেন, এদিন যাঁরা গোলাম মোস্তফার উপর আক্রমণ চালিয়েছে তাঁদের কাউকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান কারাননি । রক্তাত অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিল গোলাম মোস্তফা । তার দু’টি পায়ের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে।এলাকার মানুষজন তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার দু’টি পায়ের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে । বামদেব বাবুর দাবি আক্রান্ত নেতা এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। যাঁরা গত বিধানসভা ভোটে দলকে হারাতে চেয়েছিল তাঁদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করেদিয়ে দল এই অঞ্চলে বড় ব্যবধানে জেতে। তাই গোলাম মোস্তফাকে দমিয়ে দিতেই এই আক্রমণ বলে বামদেব মণ্ডল অভিযোগ করেন ।
এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য ,রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বামদেব মণ্ডলের সঙ্গে জেলাপরিষদের সভাধিপতি ও বিধায়ক শম্পা ধারার গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে।এ ঘটনাও তারই জের। দীর্ঘদিন ধরে রায়নায় নানা রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এসেছে। আজ আবার আর একটি ঘটনা ঘটল।যদিও দলীয় ভাবে এই বিষয়টি নিয়ে এদিন কেউ মুখ খোলেন না । বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,“ এলাকায় তোলাবাজি নিয়ে দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব। তার জেরেই দিকে দিকে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ছে ।’।