দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২১ অক্টোবর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের শিবলুন স্টেশনের কাছে রেললাইনের পাশে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় সেচদফতরের এক কর্মীকে উদ্ধার করল রেলপুলিশ । জখম ব্যক্তির নাম রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায় (৫০) । কেতুগ্রামের অম্বলগ্রাম তাঁর বাড়ি । তবে কাটোয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদপুর কলোনিতে পিশেমশাইয়ের বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকেন তিনি । কেতুগ্রামের কাঁদরায় সেচদফতরের অফিসে তিনি কর্মরত রয়েছেন । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শুক্রবার সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে । ওই ব্যক্তির
হাঁটুর নিচে থেকে বাঁ পা কাটা এবং ডান পা ভাঙা অবস্থায় ছিল । এদিকে ওই ব্যক্তির ওভাবে পড়ে থাকা নিয়ে ধন্দের সৃষ্টি হয়েছে । পুলিশের অনুমান, তিনি আত্নহত্যার চেষ্টা করেছিলেন । তবে পরিবারের দাবি,রুদ্রভৈরববাবুর পাওনাদারেরা তাঁকে বেহুঁশ করে রেল লাইনের উপর ফেলে রেখে গিয়েছিল । যদিও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এনিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে ।
রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী শম্পাদেবী,ছেলে সৌমিক ও মেয়ে সুরভী । ছেলে মেয়ে দু’জনেই পড়াশোনা করে । রুদ্রভৈরববাবুর ছেলেমেয়েরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের বাবা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান । ওইদিন গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কালীপুজো ছিল। মন্দিরে পুজোর পর অফিস যাওয়ার কথা ছিল তাঁর বাবার । কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ বাড়িতে খবর আসে তাঁর বাবাকে ওই জখম উদ্ধার করেছে পুলিশ । তারা বলেন, ‘কাটোয়া হাসপাতালে যখন যাই তখন বাবার হুঁশ ছিল ৷ বাবা জানান পাওনাদাররা তাঁকে চেতনা নাশক কিছু দিয়ে তাঁকে বেহুঁশ করে তুলে নিয়ে যায় ।’ ওই সমস্ত লোকজন প্রায়ই বাড়িতে তাগাদা করতে আসতেন বলে তারা জানান ।
জানা গেছে,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাটোয়া আজিমগঞ্জ শাখার শিবলুন স্টেশনের কাছে রেললাইনের পাশে গুরুতর জখম অবস্থায় পড়েছিলেন রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায় । তাঁকে রেলপুলিশ ও কেতুগ্রাম থানার পুলিশ মিলে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে । প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে, রুদ্রভৈরববাবু মদের নেশায় আসক্ত ছিলেন । নেশা করতে গিয়ে বাজারে লক্ষাধিক টাকা দেনা করে ফেলেছিলেন । আর তার জেরেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে অনুমান পুলিশের ।।