এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরাখণ্ড,০৬ নভেম্বর : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ভোটারদের মন জয় করতে গিয়ে ততই নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করেছে রাজনৈতিক দলের নেতারা । এমনিতেই দেশের মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের একচেটিয়া সমর্থন পেয়ে থাকে কথিত ‘সেকুলার’ কংগ্রেস । কিন্তু কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করতে তা যথেষ্ট নয় । তাই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির হিন্দু ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের নেতাদের।
গত বছরের শীতের মরশুমে প্রবল ঠান্ডার মধ্যে গরম পোশাক ছাড়াই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় হেঁটে নিজেকে ‘তপস্বী’ প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করেতে দেখা গেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধিকে । এবারে রবিবার থেকে তিন দিনের উত্তরাখণ্ড সফরে গিয়ে রুদ্রপ্রয়াগ জেলার কেদারনাথ মন্দিরে ভগবান মহাদেবকে প্রণাম করলেন ফিরোজ খান দৌহিত্র রাহুল । সফরের নাম দিয়েছেন “একান্তে ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক যাত্রা” । যদিও তার হিন্দু তীর্থস্থানে কথিত ‘আধ্যাত্মিক যাত্রা’ টি মোটেই সুখকর ছিল না । কারন পূণ্যার্থীরা রাহুলকে দেখেই “মোদী মোদী” শ্লোগান দিতে শুরু করেন । ফলে তীব্র অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয় ওই প্রবীন কংগ্রেস নেতাকে ।
কেদারনাথ মন্দিরে গিয়ে ভগবান মহাদেবকে প্রণাম করে দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’-এ লিখেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধি । তার দল দলীয় কর্মীদের অনুরোধ করেছে যে আপনারা পরের বার আপনার প্রিয় নেতার সাথে দেখা করতে পারেন । অর্থাৎ রাহুল গাঁধির কেদারনাথ সফর যে ‘পরিকল্পনা মাফিক’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ তা স্পষ্ট ।
রবিবার রাহুল গাঁধি দেরাদুনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরে অবতরণ করেন, সেখান থেকে তিনি একটি হেলিকপ্টারে কেদারনাথ মন্দিরে যান । আর তখনই কেদারনাথ দর্শনে যাওয়া পূণ্যার্থীরা তোলেন “মোদী মোদী” শ্লোগান ৷ পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য মিডিয়া ইনচার্জ মনবীর সিং চৌহান রাহুল গাঁধির কেদারনাথে ব্যক্তিগত সফর নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন,’আমি আশা করি রাহুল গাঁধির কেদারনাথ সফর ওনাকে ‘সদবুদ্ধি’ দেবে এবং তাদের (কংগ্রেস’) নেতারা জাতীয় স্বার্থে দুর্নীতিবিরোধী নীতি গ্রহণের অঙ্গীকার করবেন। তার (রাহুল গান্ধী) সনাতন ধর্মের প্রতি ভালোবাসা মাঝে মাঝেই লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু তাদের দলের মাত্র গুটিকয়েক নেতা সনাতনের প্রতি তার বিশ্বাসকে পছন্দ করেন। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক লাভের জন্য তিনি এটা আকছার করে থাকেন ।’।