এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৭ নভেম্বর : মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় হিংসার ঘটনায় এক্স হ্যান্ডেলে একটা বিবৃতি জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে । সেই বিবৃতিতে কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে । ‘গুজব ছড়ানোর জন্য কিছু মহল থেকে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে । ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অযাচাইকৃত তথ্য ও পরিসংখ্যানে’ কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সতর্ক করেছে যে ‘গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধেও কঠোর সম্ভাব্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ । ওই পোস্টটি রিপোস্ট করে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রশ্ন তুলেছেন,’রহিম কাজ করলো, আব্দুল ঝামেলা করলো এবং হরিপদ র বাড়ি পুড়লো, ব্যাপারটা এরকম নয় তো?’
আজ বিকেল ৫:৪১ নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলে বেলডাঙ্গার হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে,’মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় গত রাতের ঘটনা সম্পর্কে ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়ানোর জন্য কিছু মহল থেকে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে যেখানে কিছু নিন্দনীয় দুষ্টুমির জন্য দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। যেখানে এ ঘটনা ঘটেছে সেই কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।১৭ জনকে আটক করে ভাংচুর ও সহিংসতার বিরুদ্ধে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোনো হতাহতের পুনরাবৃত্তি জেলার কোথাও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ৬ জন আহত হয়েছে এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা চলছে। আহত সকলের অবস্থা স্থিতিশীল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অযাচাইকৃত তথ্য ও পরিসংখ্যানে অনুগ্রহ করে কর্ণপাত করবেন না। আইন অমান্যকারীদের পাশাপাশি গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধেও কঠোর সম্ভাব্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই পোস্টটি রিপোস্ট করে তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন,’প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারি কে গ্রেফতার করেছেন সেটা না হয় বুঝলাম কিন্তু ওই সাইনবোর্ড কে লাগিয়েছিল সেটা খুঁজে পেলেন কি? কে অত লোক জোগাড় করল সেটা খোঁজ পেলেন? উস্কানি কারা দিল এবং তাদের উস্কানিতে ঐরকম হলো বোঝা গেল? রহিম কাজ করলো, আব্দুল ঝামেলা করলো এবং হরিপদ র বাড়ি পুড়লো । ব্যাপারটা এরকম নয় তো?’
এর আগে এক ব্যক্তির একটা উসকানিমূলক ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তরুণজ্যোতি । ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে নিজের স্বজাতীয়দের বেলডাঙ্গায় গিয়ে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে হামলার আহ্বান জানাতে শোনা গেছে । যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন । তরুণজ্যোতি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে অনুরোধ করবো এই ব্যক্তিটিকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য । এর পিছনে কারা আছে সেটাও দেখা দরকার। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বেলডাঙায় ঝামেলা আরো বাড়াচ্ছে । বেলডাঙার ঘটনার উৎপত্তি যে সাইনবোর্ড নিয়ে সেই সাইনবোর্ড কে বানিয়েছিল তাকে অবিলম্বে ধরা উচিত তাহলেই বোঝা যাবে কার নির্দেশে হয়েছে ওটা । একই সাথে যারা ভাঙচুর চালালো এবং যারা নিরীহ মানুষদের ওপর আক্রমণ করল তাদের কেউ গ্রেফতার করা উচিত। এনআইএ -এর উচিত এই তদন্তভার হাতে নেওয়া একমাত্র তাহলেই সত্যিটা সামনে আসবে ।’
অন্য একটি পোস্টে তিনি পুলিশকে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে সচেতন করে দিয়ে লিখেছেন,’বেলডাঙ্গার ঘটনা তদন্ত করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তিনটে বিষয় এক্ষুনি পরিষ্কার করা দরকার। ১)ডিসপ্লে বোর্ড কে লাগিয়েছিল এবং ওই কথাটি কে লিখেছিল? ২) একটা বাজে কথা দেখার পর পুলিশের কাছে না গিয়ে লোকজন জোগাড় করেছিল কে? ৩) কারা উস্কানিমূলক মন্তব্য দিয়েছিল এবং কাদের জন্য ওই পরিস্থিতি হল? এই ছোট্ট কাজ তিনটে করার ক্ষমতা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসনের আছে কি?’ তার মতে, ‘সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত একটা ঘটনা। এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে। এনআইএ-এর উচিত এই বিষয়ে তদন্ত করা।’
তরুনজ্যোতি আর একটা পোস্টে হ্যাশট্যাগ বেলডাঙ্গা ব্যবহার করে কটাক্ষ করেছেন,’ডবল ডিমের কুসুম, Ganga-Jamuni Tehzeeb, ভাতৃত্ববোধ… Bhai Chara…. সবকিছুই কেমন উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে।। যেখানে ওরা ১০-১৫% এর নিচে সেখানে এইসব ডায়লগ হয় এবং সংখ্যাটা এর থেকে ওপরে গেলেই আপনারা কাফের।’।