এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৫ ডিসেম্বর : গাজওয়াতুল হিন্দ হল ভারত-পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের শেষ লক্ষ্য । আর এই গাজওয়াতুল হিন্দের সবচেয়ে বড় অন্তরায় হল কট্টর হিন্দুত্ববাদ । দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলের মতই ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরাও ভারতের হিন্দুদের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসাবেই দেখতে চায় । যদিও তাদের লক্ষ্য আলাদা । রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য হিন্দু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে এবং একচেটিয়া মুসলিম ভোট নিয়ে শাসন ক্ষমতা কুক্ষিগত করা । আর ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশ্য হল হিন্দুদের ধর্মনিরপেক্ষতার সুযোগে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করে ভারতকে ইসলামি রাষ্ট্রের রূপ দেওয়া । আর সেই প্রস্তুতিও কেরালায় শুরু হয়েছিল বলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা । কেরালার একটা জঙ্গি সংগঠনকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধও করে দেওয়া হয়েছে ।
২০১৪ সালে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার আসার পর ভারতের হিন্দুদের মধ্যে জাতপাতের বিভেদ ভুলে একজোট হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । নেতা ও সাধুসন্ত থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে এর প্রচারও চলছে । আর এই প্রচারে অনেকাংশ কাজও হয়েছে । যাতে সবচেয়ে বিপদে পড়েছে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল ও ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি । তখন থেকেই হিন্দুত্ববাদী নেতারা সন্ত্রাসীদের খতম তালিকায় রয়েছে । পশ্চিমবঙ্গে কট্টর হিন্দুত্ববাদের কার্যত ব্রান্ডে পরিণত হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর ইসলামপন্থীদের পাশবিক বর্বরোচিত অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তিনি যেভাবে এরাজ্যের হিন্দুদের একজোট করে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাতে চরম ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা । তারা এখন শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার । শুভেন্দুর উপর বাংলাদেশি জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করে রাজ্যের পুলিশকে ইতিমধ্যে সতর্কও করে দিয়েছে কেন্দ্রের গোয়েন্দা সংস্থা । বাংলাদেশের দুই জঙ্গি সংগঠন শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । আর ওই সংগঠন দুটি হল হারকাতুল-মুজাহিদিন-বাংলাদেশ এবং হিজবুত তাহিরি । তিনজন প্রশিক্ষিত জঙ্গি ইতিমধ্যেই ভারতে ঢুকেও পড়েছে। তারা চলতি মাসের ২৪ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে কোনও জনসভায় শুভেন্দুর উপর আইইডি বিস্ফোরণ বা অন্য কোনো ভাবে হামলা করতে পারে বলে গত ১৬ তারিখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে রাজ্য পুলিশকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে জানা আজ । এই মর্মে পরপর দুটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে ।
যেকারণে এরাজ্যের বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদেরও বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে খবর । ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট হাতে পেয়েই তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন, তৎপরতা বাড়িয়েছে পুলিশও। রাজ্যের সর্বত্র পুলিশকে সতর্কও করা হয়েছে বলে জানা গেছে । তবে সন্ত্রাসী হামলাকে বিশেষ আমল দিতে চাননি শুভেন্দু অধিকারী । তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আগে তৃণমূল আমাকে আক্রমণ করেছে, এখন জঙ্গিরা আক্রমণ করতে চাইছে । ওদের কাজ ওরা করুক, আমি আমার কাজ চালিয়ে যাব । জনগনই আমায় সুরক্ষা দিয়েছেন এবং দেবেন ।’।