এইদিন স্পোর্টস নিউজ,২৫ জানুয়ারী : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি । কিন্তু এখনও প্রস্তুত হয়নি আসরের ভেন্যু। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় আবারও সমালোচনার মুখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কবে নাগাদ স্টেডিয়াম প্রস্তুত হবে তা নিয়েও নেই কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য। এতে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও বাড়তি চাপে থাকবে পিসিবি । ফলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দক্ষতা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে ।
পাকিস্তানে হতে চলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। আইসিসির কোনো ইভেন্ট শুরুর আগে এত সমালোচনা মনে হয় খুব কমই দেখা যায়। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যু সঠিক সময়ে পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জমজমাট করতে আসরের তিনটি ভেন্যু সংস্কারের কাজ হাতে নেয় পিসিবি। যার জন্য প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। জানুয়ারির ২৫ তারিখের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও আপাতত তা হচ্ছে না। কাজের অগ্রগতি হিসেবে সংস্কার শেষ করতে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তিন বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশের নাম ঘোষণার পর আসরের ভেন্যুগুলোকে অত্যাধুনিক করার ঘোষণা করেছিল পিসিবি। বিশেষ করে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের ভেন্যু তৈরি করতে বৃহৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলো পাকিস্তানের বোর্ড প্রধান। স্টেডিয়াম নিয়ে অত্যাধুনিক পরিকল্পনা থাকলেও তখন প্রশ্ন উঠেছিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টেডিয়াম পাওয়া যাবে কি না। তখন পিসিবি প্রধান জানিয়েছিলেন, সময়মতো সংস্কার কাজ শেষ করতে ২৫০ শ্রমিক দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তবে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়া, কাজের গতি আরও বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে পিসিবি।
খেলোয়াড়দের জন্য আইসবাথ থেকে শুরু করে হসপিটালিটি ও কর্পোরেট বক্স পুনর্নিমাণের পরিকল্পনা করা হয়। এছাড়া আরও বেশ কিছু স্থায়ী কাঠামো তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এতে নির্ধারিত সময়ে সংস্কার কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এর আগে সবশেষ ১৯৯৬ সালে আইসিসি ইভেন্টের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। তখন গাদ্দাফি স্টেডিয়ামটিকে মুঘলীয় অবকাঠামোতে সাজানো হয়।এবার পাকিস্তান আইসিসির ইভেন্ট সামনে রেখে সর্বোচ্চ মান বাড়াতে চায় পিসিবি। আপাতত একটি ডিজিটাল স্কোরবোর্ড বসানো শেষে দ্বিতীয়টির কাজ চলছে। এছাড়া ৬টি ফ্লাডলাইটের লাইট পরিবর্তনের কাজও শেষ। সব কাজ শেষ করতে আরও ১০ দিন লাগতে পারে বলে জানা গেছে।
গত বছর সংস্কার কাজের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে করাচি স্টেডিয়ামে শুরু হবে পাকিস্তান সাউথ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ট্রাইনেশন সিরিজ। এই স্টেডিয়ামের কাজও চলমান। তাই আপাতত এ সিরিজের প্রথম ম্যাচের জন্য মাঠ প্রস্তুত করার লক্ষ্য পাকিস্তানের।।